সুন্দরবনের জন্যই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে-হাবিবুন নাহার

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:২১ পিএম, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ৭৫২

উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, সুন্দরবন আর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। কারন বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষন সারা বিশ্বের মানুষ জানে এবং আমাদের ম্যানগ্রোফ সুন্দরবন বিশ্বের কাছে পরিচিত। বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশে সারা দেশের মানুষের দেখারমতো একটি জায়গা সেটা হলো আমাদের সুন্দরবন।

এ বনকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে এ বনের বনজ সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, বন্যপ্রানী ও এর জীব বৈচিত্র রক্ষা করা যায়। তাই আমরা যদি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসী তবে তার চেষ্টার ফল এ দেশ, দেশের মানুষ, প্রকৃতির সৃষ্টি সুন্দরবন ও বনের জীব বৈচিত্রকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই আমাদের ন্যায় ও সরকারের দেয়া অর্পিত দায়ীত্ব পালন করা হবে।

সুন্দরবন আমাদের মায়ের মতো, মা যেমন সন্তানকে বুকের মাঝে আগলে রাখে, সুন্দরবনও তেমন ঝড় জলোস্রাস আর ঘুর্নিঝড় দুর্যোগের মতো বিপদ থেকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। মঙ্গলবার দুপুরে জয়মনির ঘোল বিশ্ব জলাভুমি দিবসের এক আলোচনা সভায় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার একথা বলেন। বিশ্ব জলাভুমি দিবসে এক বর্নঢ্য র‌্যালীর আয়োজন করেন বন অধিদপ্তরের বন্য প্রানী সংরক্ষন বিভাগ।

র‌্যালীটি বাজারের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন শেষে জয়মনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এসে শেষ হয়। এসময় খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোঃ মঈনুদ্দিন খান’র সভাপতিত্বে এক আলোচন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি। এছাড়াও জলাভুমি সংরক্ষন ও এর বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করেন খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এবং উডটেকনোলজি ডিসিপ্লিন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ ওয়াসিউল ইসলাম, তিনি বলেন, মানুষ ধীরে ধীরে সমাজের মুল্যবান কিছু সম্পদ রক্ষা করতে পারছেনা।

কারন, মানুষ তার জীবনে সঠিক ভাবে বেঁচে থেকে ভালভাবে চলাচল করতে হলে জলাভুমি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ জলাভুমিতে রয়েছে অনেক প্রকারের জীব বৈচিত্রময় জীবানু। যা আমাদের সর্বক্ষনিক কাজে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে। তাই জলাভুমি না বাচালে এজন্য আমাদেরই এক সময় ক্ষতির সম্মুক্ষীন হতে হবে। এখনই সময় আমাদের সুন্দরবন, বনের মৎস্যও বনজ সম্পদ ও সকল প্রকারের জীব বৈচিত্রকে রক্ষাকরা আমাদের দায়ীত্ব ও কর্তব্য।

খুলনা অঞ্চলের বন্য প্রানী ব্যাবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগের ডিএফও মোঃ মদিনুল আহসান, সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বসিরুল আল মামুন, পুর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাহাত মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক, মোংলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম সরোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সুন্দরন সহ-ব্যাবস্থাপনা সংগঠন (সিএমসি) সভাপতি গাজী জহিরুল হক, সাবেক সিএমসির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ফকির আবুল কালাম আজাদ, থানা যুবলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হোসেন, মোল্লা তরিকুল ইসলাম,নিখিল চন্দ্র রায়সহ বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও জয়মনি মাধ্যমিক ও প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান শেষে বন্যপ্রানী সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে উদ্ধার করে সংরক্ষন ও বনে অবমুক্ত করার জন্য দুইজনকে পুরুস্কৃত করে উপমন্ত্রী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত