মোংলায় চিংড়িতে জলজ অনুশীলন সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা 

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ১০:০৮ পিএম, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০ | ৫৩৭

মোংলা উপজেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবয়ানেও সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের সহায়তায় চিংড়িতে জলজ অনুশীলন সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ মার্চ (সোমবার) চিংড়িতে জলজ অনুশীলন সম্পর্কে সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা উপ পরিচালক মৎস্য অধিদপ্তর নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার,জেলা মৎস্য কর্মকতা ড. মোঃ খালেদ কনক, উপ প্রকল্প পরিচালক সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট মৎস্য অধিদপ্তর সরোজ কুমার মিস্ত্রি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার হাই, মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার এ জেড এম তৌহিদুর রহমান সহ অনেকে।
চিংড়িতে জলজ অনুশীলন সম্পর্ক সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেন প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।
চিংড়ি রপ্তানি থেকে কোটি কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে এবং উৎপাদিত চিংড়ির শতকরা ৮০ ভাগ বাগদা এবং ২০ ভাগ মিঠা পানির গলদা।
পুকুর বা ঘেরের চিংড়ির অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিলেই বুঝতে হবে চিংড়ি রোগের আক্রান্ত হয়েছে। মাটির প্রকৃতি, পানির তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, অক্সিজেন, পি এইচ ইত্যাদির সমষ্ঠিগত বৈশিষ্ঠ্যের এক বা একাধিক গুণাবলী খারাপ হলে চিংড়ি দুর্বল ও রোগাক্রান্ত হয়।
অধিক হারে পোনা মজুদ, অতিরিক্ত খাদ্য ও সার প্রয়োগ, কম গভীরতা উচ্চতাপ, হঠাৎ করে লবণাক্ত কম বেশী হওয়া ইত্যাদি ও চিংড়ির পরিবেশের ভাল ও মন্দ ব্যাকটেরিয়া যার নিজেদের মধ্যে সংকেত আদান প্রদান করতে সক্ষম সে সম্পর্কেও ধারনা দেন ।
ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া চিংড়ির পরিবেশে থাকবে কিন্তু চিংড়িকে রোগাক্রান্ত না করে আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠান শেষে মোংলা উপজেলার প্রায় দুইশত চিংড়ি চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত