৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত

বাগেরহাটে শিল্পকলা একাডেমির বেহাল দশা

শেখ আহসানুল করিম

আপডেট : ১০:০৭ এএম, শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৭৩১

বাগেরহাট শহরের ব্যাস্ততম দশানী মোড় এলাকায় প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাগেরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অবস্থা এখন বেহাল। মাত্র ১১ বছর আগে ২০০৬ সালে নির্মিত এ ভবনটিতে ইতি মধ্যেই দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। আর এ একাডেমি ভবনে থাকা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর বড় পর্দা দিয়ে ৭শ ৫০ জন দর্শক ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন হল রুমটিও এখন করুন অবস্থায়। প্রয়োজনীয় বরাদ্ধের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ একাডেমিতে কোন উল্লেখ যোগ্য কার্যক্রম না থাকলেও দেখার কেউ নেই। এমনকি দীর্ঘ ১১ বছরেও এ একাডেমি ভবনটি এক বারও করা হয়নি কোন সংস্কার কাজ।


খোজ নিয়ে জানাগেছে, ১৯৯৪ সালের ১৪ জুলাই তৎকালিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ,এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম বাগেরহাট শহরের দশানী মোড় এলাকায় প্রায় ১ একর জমির উপর এ একাডেমি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তিতে ২০০৬ সালে এ একাডেমি ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট-২ আসনের তৎকালিন এমপি এমএএইচ সেলিম এ একাডেমি ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সেই সময়ে জেলার নব নির্মিত এ শিল্পকলা একাডেমিতে জেলার শিল্পি ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের পদচারনায় মুখোরিত হয়ে উঠলেও তার বছর দুই পর আস্তে আস্তে এ শিল্পকলা একাডেমি তার যৌলস হারাতে শুরু করে। বর্তমানে এ একাডেমিতে কার্যক্রম বলতে সংঙ্গীত, নিত্য, আবৃত্তি, তবলা ও চারুকলা প্রশিক্ষন বিভাগে ১শ ৫৬ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে। ভবনটি ঝুকিপূর্ন থাকায় জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনে হয়ে থাকে। শিল্পকলা একাডেমি ভবনটি এখন প্রায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।


বাগেরহাট শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ২০০৬ সালে নতুন এ শিল্পকলা একাডেমি ভবন নির্মানের পর মাত্র ১১ বছরের মাথায় প্রশাসনিক ভবনের একাধিক স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অডিটরিয়ামের হল রুমের মঞ্চ সংলগ্ন দেয়ালে একটি ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে, যেটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আমাদের যে হল রুমটি রয়েছে সেটি দীর্ঘদিন ধরে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। হল রুমের সাউন্ড সিস্টেম, লাইটিং ও পর্দা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। নিজস্ব হল রুম থাকতে জাতীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা পুরাতন শিল্পকলা একাডেমিতে কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শহর থেকে একটু দূরে হওয়ার কারনে এ এলাকাটিতে কোন সাংস্কৃতিক পল্লী গড়ে ওঠেনি, যে কারনে এখানে কোন অনুষ্ঠান করলে শিল্পি বা অন্যান্য লোকজন আসতে চায় না। এ কারনে জাতীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো স্বাধীনতা উদ্যান বা সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনে হয়ে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত