শিশু সুরক্ষা প্রাধান্য দেয়া উচিত বলছে ওয়ার্ল্ডভিশন

পরিবারের উপার্জন সংকটে লাখো শিশু ক্ষুধার্ত, বাধ্য হচ্ছে শিশু শ্রম ও ভিক্ষাবৃত্তিতে

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১২:৩২ এএম, শনিবার, ১১ জুলাই ২০২০ | ৯১৯

ফাইল ফটো

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে পরিবারের আয় হ্রাসের ফলে পিতামাতা ও অভিভাবকদেও চাপ তৈরী হওয়ায় শিশুরা μমাগত নিঃসঙ্গতা অনুভব করছে, বলছে আন্তর্জাতিক শিশু কেন্দ্রিক উন্নয়ন সং ̄’াওয়ার্ল্ডভিশন।

‘আউট অফ টাইমস’শিরোনামে আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সতর্ককরা হয়েছে , কোভিড -১৯ এর অর্থনৈতিকমন্দার প্রভাবে শিশুর ক্ষুধা, সহিংসতা এবং দারিদ্রবৃদ্ধির যে বৈশি^ক আশঙ্কা করা হয়েছিল তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে । যার কারনে এশিয়া অঞ্চলে ৮.৫ কোটি পরিবারের সঞ্চিত খাবার অপ্রতুল বা নেই বললেই চলে ,এবং ১১কোটি শিশু ক্ষুধার্ত থেকে যাচ্ছে।

উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বলছে ,পিতা মাতার পর্যাপ্ত খাবার কেনার সামর্থের অভাবে এশিয়া অঞ্চলের ৮০ লাখ শিশু ভিক্ষা বৃত্তি, শিশু শ্রম এবং বাল্য বিবাহের ঝুঁকিতে পরতে পরে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালিন ন্যাশনাল ডিরেক্টর চন্দন গোমেজ বলেন ‘সম্প্রতি পরিচালিত একটি র ̈াপিড অ ̈াসেসমেন্টে দেখা গেছে বাংলাদেশে শতকরা ৮৭ ভাগ শিশু মানসিক মানসিক চাপে আছে এবং লকডাউনের প্রভাবে পরিবারের আয় কমে যাওয়ায় আরও ৮৭ ভাগ শিশু উদ্বিগ্ন । ‘ শিশু, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে কেননা এই সংকটকালিন পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ার কৌশল হিসেবে তাদের চাহিদার চেয়ে কম খাবার গ্রহন করতে হচ্ছে।’

ওয়ার্ল্ডভিশনের গ্লোবালইমপ্যাক্ট বিষয়ক পার্টনারশিপ লিডার রবাট শু বলেন লাতিন আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ায় এই র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট পরিচালনা করা হয় যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে এই মহামারীতে সংকটের শীর্ষে এখন শিশুরা।‘প্রতিটা অ্যাসেসমেন্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে উপার্জন ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে, খাদ্য μয়ের সামর্থের অভাবে পরিবার ̧ লোর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে যা শিশুদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

’‘এটাই স্বাভাবিক যে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার ̧লো সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়, বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে থাকা দেশ ̧লোযারা সংঘাত, জলবায়ু পরিবতন ,অস্থিরতা ,বাস্তু চ্যুতি এবং মানবিক সাহায্যেও ওপর নির্ভরশীল।’কমিউনিটি পর্যায়ে এশিয়ার ১৪ হাজার পরিবার , আফ্রিকার ২,৪০০ এর অধিকক্ষুদ্র উদ্যোক্তার এবং ভেনিজুয়েলার ৩৬০ জন শরনার্থীর কাছ থেকে ওয়ার্ল্ডভিশনের প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে মহামারীর প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থা ̧ লো যে আশঙ্কা করেছিল তা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ্ । আউ্ট অব টাইমস প্রতিবেদনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বিভিন্ন দেশের সরকার , জাতিসংঘের সংস্থাসমুহ, দাতা গোষ্ঠী , এনজিও , বেসরকারি খাতের প্রতি বৈশি^ক আহবান জানিয়েছে যেন শিশু সংবেদনশীল সামাজিক সুরক্ষা কর্মসুচী বৃদ্ধি, খাদ্য ও বাজার ব্যাবস্থাপনা সচল রাখা ,চাকরী ও জীবিকার সুরক্ষা এবং অর্ন্তভুক্তিমুলক, সহনশীল ও সবুজ অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হয়।

দেবাশীষ রঞ্জন সরকার
কমিউনিকেশনস ম্পেশালিস্ট (মিডিয়া) ,
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ,
৩৫ কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, বনানী ,ঢাকা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত