মোল্লাহাটে বাড়ি দখল ও লুটপাট মামলার বাদীকে হুমকী, আসামীরা বেপরোয়া

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:৪৮ পিএম, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০ | ৫৬৩

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে জোর পূর্বক বাড়ি দখলের চেষ্টা ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো বাদীকে হুমকীধামকি দিচ্ছেন আসামীরা। এ অবস্থায় বাদী ও তার পরিবারের লোকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

মামলার বাদী মোল্লাহাট উপজেলার দেড়বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ মাসুম মোল্লা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী আসামী একই এলাকার মুরাদ মোল্লার কাছ থেকে ১৫ শতক জমি সাত লক্ষ টাকা মূল্যে ক্রয় করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা নগদ দিয়ে বায়না রেজিষ্ট্রি করি। এরপর থেকেই ওই জমিতে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করি। কিন্তু পরবর্র্তীতে সে আমাকে দলিল না দিয়ে উল্টো হয়রানি করা শুরু করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। হয়রানির অংশ হিসেবে গেল ২৩ জুন সকালে আমি জরুরী কাজে বাগেরহাটে আসলে মুরাদ মোল্লা ও তার ভাই মাহমুদ মোল্লার নেতৃত্বে ৫-৬ জন আমার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে। স্ত্রী সন্তানদের মারধর করে রাস্তায় তাড়িয়ে দেয়। ঘরে থাকা মালামাল লুটে নেয়। বাড়ি দখলের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে আমার স্ত্রী থানায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আমার স্ত্রী সন্তানকে ঘরে তুলে দেয়। কিন্তু মুরাদ মোল্লারা লুটে নেওয়া কোন মালামাল ফেরত দেয়নি। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় মামলা দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকী দিচ্ছে। যেকোন সময় আমাকে প্রাণে মেরে ফেলারও কথা বলেছেন।


মাসুম মোল্লা আরও বলেন, মুরাদ মোল্লা একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধ কর্মকান্ডের ঘটনায় মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালের ২ জুলাই গভীর রাতে সিদ কেটে ঘরে ঢুকে আমার শিশু সন্তানকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় আমার মেয়েকে। আমি মুরাদ মোল্লার হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই এবং সঠিক বিচারের দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম কবির বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে মুরাদ মোল্লা গা ঢাকা দিয়েছেন। আমরা যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত