সুন্দরবনে বিষ দস্যু ধরতে বন বিভাগের পাশাপাশি পুলিশের অভিযান

মোংলায় জেলে ও কীটনাশক বিক্রেতাসহ ৭ জন আটক

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৩৬ পিএম, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০ | ৭১৮

সুন্দরবন জুড়ে বন বিভাগের পাশাপাশী এখন পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। সফলতাও এনেছে পুলিশ প্রশাসন। তাই সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগে জেলে ও কীটনাশক বিক্রেতাসহ ৭ জনকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। এ সময় বিষ প্রয়োগে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জাল, নৌকা এবং বিপুল পরিমান কীটনাশক জব্দ করে তারা।

বুধবার সকালে সুন্দরবনের জয়মনিসহ আশপাশ এলাকায় মোংলা থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে এসব বিষ দুর্বৃত্তকে আটকের পাশাপাশি মাছ, ট্রলার, জাল ও বিষ উদ্ধার করে।

বুধবার দুপুরে থানা চত্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মোংলা থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল ও ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সুন্দরবন এলাকায় দস্যু, অবৈধভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও চোরা হরিণ শিকাররোধে নিয়মিত টহলের সময় বুধবার সকালে ৬ জেলে ও জেলেদের কাছে বিষ বিক্রির অভিযোগে এক কীটনাশক বিক্রেতাকে আটক করে।

এরা হচ্ছে, মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দরতলা এলাকার মৃত সুধির মন্ডলের ছেলে শিবপদ মন্ডল (৪২), মৃত নরেন রায়ের ছেলে গোবিন্দ রায় (৩৫), মোঃ আকবর আলি শেখ’র ছেলে মোঃ দুলাল শেখ (২৫), মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে আরিজুল ফকির ( ৩৫), বিজয় রায়ের ছেলে সুব্রত রায় (২৫) ও আফজাল শেখের ছেলে আমিন শেখ (১৯)। আটককৃতদের সকলের বাড়ী চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বিষগুলো ডেনিটল, লিডার, সুপারথ্রিন, সাইপারমেথ্রিন নামের ২০ বোতল বিষ সহ সুন্দরবন ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকার সুলতান খানের ছেলে আলামিন খান (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আলামিন বৈদ্যমারী বাজারে তার মালিকানাধীন নিজ দোকানে জেলেদের কাছে এ বিষ বিক্রি করে আসছিল। এছাড়া বিষ দিয়ে শিকার করা ছয় ক্যারেট বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়িং ও সাদা মাছ সহ একটি ট্রলার ও একটি বাধা জাল এসময় জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বনাঞ্চলের জলাভুমিতে কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত