বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ

মাদ্রাসায় ভূয়া কমিটি সাজিয়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৩:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ২৭৮১

মোড়েলগঞ্জ

মোড়েলগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় ভূয়া কমিটি বানিয়ে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ব্রাম্মনকাঠী ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় গত এক বছর ধরে এই ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলো। ভূয়া ঐ কমিটি এরই মধ্যে শিক্ষকসহ ৫ জনকে নিয়োগ দিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকাবাসী ঐ কমিটির তৎপরতা বন্ধ করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।

সূত্রে জানা যায় ১৯৮৪ সাল থেকে উপজেলা তেলিগাতী ইউনিয়নের ব্রাম্মনকাঠী গ্রামে ব্রাম্মনকাঠী ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি সভাপতি মোঃ মান্নান শেখ স্থানীয়ভাবে কয়েকজনকে নিয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে শ্রম বা অর্থ দিয়ে সরকারী কিছু অনুদান বা সহায়তা নিয়ে চালু করেন।

এখানে বর্তমানে ৪০-৫০ জন ছাত্র/ছাত্রী প্রতিদিন সকালে পাঠদান করান হামচাপুর দাখিল মাদ্রাসার একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক (সুলতান আলী মুন্সী)। কিন্তু বর্তমান
সরকার শিক্ষার মানোন্নয়ন ও প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতা মূলক সহ শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ক্রমে সরকারী বা জাতীয়করন করতে যাচ্ছে। এই খবর এলাকার আঃ ওহাব মাষ্টার জানতে পারলে পূর্বের সভাপতির অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে সে সু-কৌশলে এলাকাবাসীর নিকট বলে মাদ্রাসাটি সরকারী করতে কাগজপত্র লাগবে মর্মে কিছু স্থানীয় লোকের নিকট থেকে স্বাক্ষর নেয়। ওই স্বাক্ষরের কাগজপত্র থেকে ইতিপূর্বের কমিটি বাতিল এবং সে একটি ভূয়া ও নতুন পকেট কমিটি করে সরকারী শিক্ষা দপ্তরে কাগজপত্র জমা দেয়।

একপর্যায়ে ওই কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে তার গ্রামের আর এক জমি দাতা তার সহযোগী আনসার আলী শেখ কে নিয়ে শিক্ষক সহ কর্মচারী নিয়োগের ব্যবস্থা করেন। ছেলে ও ছেলের বৌ এবং তার স্যালকের ছেলে সহ অন্য দুজনের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়োগ দেয়। অবৈধ কমিটি কোন প্রকার নিয়োগ সহ কোন ধরনের কার্যক্রম না করতে পারেন এ ব্যপারে রফিজউদ্দিন ডাকুয়া সহ স্থানীয় অনেকে গত ৬ই সেপ্টেম্বর মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী বরাবরে নিয়োগ, ভূয়া কমিটি সাজানোর অভিযোগ করে একটি আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে এর অনুলিপি প্রেরন করেন ।


মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আবেদনটি আমি পেয়েছি,উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

আঃ ওহাব আলী মাষ্টার (সভাপতি) এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুলতান আলী মুন্সী বলেন, আমি প্রতিদিন সকালবেলা স্থানীয় কিছু ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাই।

স্থানীয়রা এ ভূয়া ও পকেট কমিটি দ্বারা কোন প্রকার শিক্ষক নিয়োগ সহ কোন কার্যক্রম পরিচালনা না করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত