প্রতিদিন বাড়ছে দর্শনার্থী
মোরেলগঞ্জে বিনা চাষে ধান
আপডেট : ০৫:০৮ পিএম, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৬০২
যে গাছ একবার ফলনদিয়ে মারা যায় তাকে ওষধি গাছ বলা হয়। সেক্ষেত্রে ধানকেও ঔষধি গাছ বলা হয়। ধান গাছ একবার ফলন দেয়। পুনরায় চাষাবাদ ও বীজবপন করে আবার তা ফলাতে হয়। কিন্তু বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরে বিনা চাষে ও বীজবপন ছাড়াই দ্বিতীয় বার ধান উৎপাদন হওয়ার দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে।
পৌর সদরের বারইখালী ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান হাওলাদারের ছেলে শহিদ হাওলাদার টেলিকমিউনিটি অফিস সংলগ্নমাঠে ১ বিঘা জমি গতবছরে লিজ নিয়ে মাছ চাষের পাশপাশি হাইব্রিট ইরি ধানের চাষ করেন। তিনি ওই জমিতে সাড়ে ৩৭ মন ধান উৎপাদন করেন। মাছ বিক্রি করেও লাভবান হয়েছেন।
ধান কর্তনের মাস যেতে না যেতেই কর্তনকৃত ধানের গোড়া থেকে আবারো নতুন করে ধান গাছের পাতা বের হতে শুরু করে। পরবর্তিতে এ থেকেই পুনরায় ধান গাছ ও ধান উৎপাদন হয়। চাষী শহিদ হাওলাদার জানান, ১৫ /২০ দিনের মধ্যে ধান সম্পূর্ণ পেকে যাবে। তবে আগের মত এত ধান উৎপাদন না হলেও ১০-১২ মন ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদী।
একই ক্ষেতে মাছ থাকার কারনে অনেক ধান মাছে খেয়ে ফেলেছে। দিনাজপুর থেকে তিনি এ ধান বীজ সংগ্রহ করেছেন বলে জানান। বিনা চাষের এ ধান দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণীর লোক আসছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেন, একে র্যাটিং ক্রোপ বলা হয়। জমিতে ইউরিয়া সার থাকলে এভাবে ফসল হতে পারে।