নিম্নআয়ের মানুষ চরম বিপাকে
চিতলমারীতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও সবজির বাজার চড়া
আপডেট : ০৬:১২ পিএম, শনিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২০ | ১০৮৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও সবজির বাজার এখন চড়া। বাজারে চড়ামূল্য স্থায়ীরূপ ধারণ করায় নিম্নআয়ের মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। দাম নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ঝড়গাঝাটি লেগে আছে। তাই বাধ্য হয়ে নামমাত্র বাজার করে অনেকেরই ঘরে ফিরতে হচ্ছে। ঘরে ফিরেও শান্তি নেই। সবজি নিয়ে এখন ঘরে-বাইরে সব খানেই জ্বালা। শনিবার বিকেলে বড় আক্ষেপের সাথে এমটাই জানালেন হাটে বাজার করতে আসা কয়েকজন খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ।
শনিবার হাটেরদিনে সবজির বাজার ঘুরে জানা গেছে, এখানে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, প্রতিহালি কাচাকলা ৫০ টাকা, বিচিকলা ৩০ টাকা ও প্রতিটি লাউ ৩০ থেকে ৬০ টাকা এবং চালকুমড়া ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচাবাজার করতে আসা ফুটপাতের বিড়ি বিক্রেতা শ্যাম প্রসাদ তরফদার ও ভ্যানচালক হান্নান বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আয় হিসেবে সবজির দাম অনেক বেশি। তাই প্রয়োজনের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ সবজি কিনেছি। দোকানদারের সাথে ঝগড়াঝাটিও কম হয়নি। এ নিয়ে বাড়ি ফিরলে পরিবারের লোকজনের গালমন্দ শুনতে হবে। বাড়িতে ফিরেও শান্তি নেই।
মটরশ্রমিক অনুকুল বালা ও বিশ্ব রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, অতিরিক্ত দামের কারণে বাজার থেকে সবজি কিনে খাওয়া মুশকিল। অনেক সময় খালি হাতে বাড়ি ফিরছি।
এ বিষয়ে চিতলমারী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা, তায়ফুল শেখ ও অহিদ মোল্লা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, খুলনার মোকাম খুবই চড়া। আমাদের প্রচুর লোকসান হচ্ছে। মানুষ আগের তুলনায় ক্রয় করা কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বেশী দাম দিয়ে ক্রয় করা সবজি অনেক সময় পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, পরপর কয়েক দফা বৃষ্টির কারনে চিতলমারীসহ বিভিন্ন এলাকার সবজির ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। যাতে ব্যববসায়ীরা অসৎপন্থা অবলম্বন করতে না পারে। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে শীতকালিন সবজি বাজারে আসলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।