হুমকির মুখে শিশু স্বাস্থ্য 

কচুয়ায় অস্বাস্থ্যকর বেকারী পণ্যে বাজার সয়লাব

বাধাল সংবাদদাতা

আপডেট : ১১:৫৬ পিএম, সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৩৩০৩

অস্বাস্থ্যকর বেকারী পণ্যে বাজার সয়লাব

কচুয়ার বিভিন্ন হাট বাজারের চায়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে বিক্রি হচ্ছে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের বেকারীর খাদ্য সামগ্রী। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে এসকল খাদ্য সামগ্রী অবাধ বিকিকিনি হচ্ছে। আর এসব খাদ্য খেয়ে ডায়রিয়া আমাশয় সহ পেটের বিভিন্ন অসুখে, শিশু সহ সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।


কচুয়া উপজেলার সদর,সাইনবোর্ড,বাধাল সহ বিভিন্ন বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাত, ছোট বড় চায়ের দোকান, ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে বিক্রি হচ্ছে নি¤œ মানের রুটি, কেক, বনরুটি, মিষ্টি সিংঙ্গাড়া, চিনি টোষ্ট, চানাচুর, মোনখুসি সহ হরেক রকম খাদ্য সামগ্রী।

এগুলোর মধ্যে চিনি টোষ্টে মাখনের স্থলে ডালডা, চিনি ও মাত্রারিক্ত স্যাকারিন, রজন, সোহারা, ইস্ট-পাউপড্ডার সহ বিভিন্ন কেমিকেল মেশানো হচ্ছে। অন্যদিকে শিশুদের জন্য আকর্ষনীয় কম দামের সাধারন প্লাষ্টিক প্যাকেটের বিভিন্ন কালারের জুস। যে গুলো মুখে দিলেই বোঝা যায় তিকর কালার, স্যাকারিন আর ফেভার। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারত্মক তিকর এই ভেজাল, কালার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পাকস্থলী,কিডনি ও যকৃতের মারাত্মক রোগ হতে পারে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।

এ খাদ্য সামগ্রী উপজেলার শ্রীরামপুর,বক্তারকাঠী, বাধাল, কাকারবিল, ধোপাখালী, কচুয়া,আড়িয়ামর্দন,বারুইখালী মঘিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় অস্বাস্থ্যর পরিবেশে গ্রামের বাড়িতে ও উপজেলার বিভিন্ন বেকারী গুলোতে তৈরি হচ্ছে।


মানিক দাস সহ কয়েকজন ক্ষুদ্র দোকানদার জানান,এসব খাদ্য খাবারের উপযোগী না তার পরেও বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ ভালোমানের বেকারীর মাল পাওয়া যায় না এবং কোম্পানির লোক আমাদের কাছে মালামাল নিয়েও আসে না। এখানকার লোকাল বেকারীর তৈরী খাবার আমাদের নিকট প্রতিদিন সকালে নিয়ে আসে এবং আমরা কম দামে হাতের কাছে পাই সেকারণে এগুলো বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছি।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তাপস কুমার দাস বলেন, এই সকল ভেজাল কালার সমৃদ্ধ খাবার খেলে পাকস্থলী, কিডনি ও যকৃতের মারাত্মক রোগ হতে পারে এবং স্বাস্থের জন্য মারত্মক তিকর। ভেজার খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে অনেক লোক এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে।


এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নারায়ন চন্দ্র হালদারের বলেন,আমরা বিভিন্ন হাট বাজারে মাইকিং করে বিএসটিআই অনুমোদন বিহীন ক্ষতিকারক খাবার ক্রয়-বিক্রয় না কার জন্য জন সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারনা করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে এসকল খাদ্য খাবার ক্রয়-বিক্রয় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে।


কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসমিন ফারহানা বলেন, আমি নতুন এসেছি, এ ধরনের ক্ষতিকারক খাদ্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত