বাগেরহাটে লকডাউনের মধ্যে স্কুলের গাছ কেটে আত্মসাত চেষ্টা প্রধান শিক্ষকের

লকডাউনের সুযোগে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর সায়েড়া চুনখোলা (বিএসসি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতবর্ষী বিভিন্ন ডজন খানেক গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝিমি রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে অর্ধশত বছরের পুরাতন গাছগুলো কেটে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গাছগুলো জড়ো করে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্রে সুস্পষ্ঠ নির্দেশনা রয়েছে। সেই পরিপত্র না মেনেই গাছগুলো কেটে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান কমিটির সভাপতি বাগেরহাট পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর তানিয়া খাতুন জানান, তিনি এই গাছ কাটার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কিন্তু এডহক কমিটির পূর্বের কমিটির সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি থাকতে ২/৩ টি গাছ কেটে বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র বানানোর অনুমোদন নিয়েছিলেন। তবে তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র না মেনেই ২/৩টি গাছ কাটার কথা। এখানে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিপত্র মানা হয়নি। এমনকি টেন্ডারও আহবান করা হয়নি।

বিদ্যালয়ের গাছকাটার বিষয়ে বিএসসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক ঝিমি রানী মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। পূর্বের কমিটি থাকতে একটি রেজুলেশন করে গাছগুলো কাটার অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোছাব্বেরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, উপজেলা শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিককে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর গাছগুলো যেহেতু কাটা হয়েছে সেহেতু বন কর্মকর্তার মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করে নিয়ম অনুযায়ী নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গাছগুলো বিক্রি করা হবে বলে তিনি জানান।