চিতলমারীতে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

নিজেরাই সীল মেরে বাক্স ভর্তি করে, এখন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৫৮ পিএম, শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১০৮৬

ওরা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই ফুটবলে সীল মেরে বাক্স ভর্তি করে। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের মোঃ বাপ্পী হোসেন পলাশের ঘর থেকে কেন্দ্রটি মাত্র ৫০ গজের মধ্যে হওয়ায় পলাশের কর্মী ও সমর্থকরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাঁরা আমার ১০-১৫ জন কর্মি ও সমর্থককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি ওদের ও এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করব। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জনাকীর্ণ এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি বলেন চিতলমারী উপজেলার চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আপেল প্রতীকের সদস্য প্রার্থী কৃষ্ণপদ গাইন।


সাবোখালী গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি আরও বলেন, গত ২০ তারিখে চিতলমারী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ১০ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে পাটরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, সংঘর্ষ হয়। প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের মোঃ বাপ্পী হোসেন পলাশের কর্মী ও সমর্থকরা জোর পূর্বক সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই ফুটবলে সীল মেরে বাক্সে ভর্তি করে। এ ছাড়া অনেক ভোটারকে কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয়।

পাটরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেটি প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের মোঃ বাপ্পী হোসেন পলাশের ঘর থেকে কেন্দ্রটি মাত্র ৫০ গজের মধ্যে হওয়ায় পলাশের কর্মী ও সমর্থকরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পলাশের কর্মী ও সমর্থকদের মারপিটে আমার ১০-১৫ জন কর্মি ও সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে আমরা নানা হুমকি-ধামকিতে পলাশের দাঙ্গা বাহিনীর ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। বিষয়টি আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করলে এর সত্যতা পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মো. ফজলুল হক বিশ্বাস, রাজু বিশ্বাস ও রিপন গোলদারসহ সাধারণ ভোটাররা।

এ ব্যাপারে ফুটবল প্রতীকের মোঃ বাপ্পী হোসেন পলাশ বলেন, নির্বাচন হয়েছে শান্তিপূর্ণ। কোন সংঘর্ষ বা মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। ব্যালট ছিনতাই হয়নি। আমার বিপক্ষের লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত