চিতলমারীতে হামলায় মুক্তিযোদ্ধা নারী ও শিশুসহ আহত ৬

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:০৪ পিএম, শনিবার, ৫ মার্চ ২০২২ | ৫২৭

চিতলমারীতে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক মুক্তিাযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও শিশুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো. মাসুদ সরদার ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাহাতাবুজ্জামান বিষয়টি মিমাংশার কথা বলেছেন। তাঁরা ব্যর্থ হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।

গত বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেল ৪ টায় উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্তপল্লী বড়গুনি পশ্চিমপাড়া খালের মাথায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রতিবেশীরা উদ্ধারের পর টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় দুইপক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ বিষয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। এলাকাবাসি জানায়, স্কুল পড়ুয়া দুই ছাত্রের এই দ্বন্দে বৃদ্ধরা জড়িয়ে পড়েছেন।


হাসপাতালের বেডে শুয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাসমত আলী ভোলা মোল্লা (৭০) বলেন,‘গত ৩ মার্চ বিকাল ৪ টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. কায়কোবাদ মুন্সি পাপ্পু, মো. নুর ইসলাম মুন্সি ও মতি মুন্সির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁদের বেপরোয়া ইটের আঘাতে আমিসহ আমার ছেলে বাদল মোল্লা (২৮), ভাইপো সবুজ মোল্লা (২৫) পৌত্র শিশু সাজ্জাদ মোল্লা (১২), ইমন মোল্লা (১৩) ও শিউলী বেগম (৩০) আহত হয়। এ সময় হামলাকারীদের ইটাবৃষ্টিতে আমার ভাই মিরাজ মোল্লার ঘর ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।’

গ্রামবাসি জানায়, মো. হাসমত আলী ভোলা মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (১৬) ও একই গ্রামের মো. নুর ইসলাম মুন্সির ছেলে হৃদয় মুন্সি (১৬) বড়গুনি মেহেরুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। ওই দুই ছাত্রের দ্বন্দের জেরে ইটা বৃষ্টির এ হামলা হয়েছে।

হৃদয় মুন্সির বাবা মো. নুর ইসলাম মুন্সি বলেন, ‘গত ৩ মার্চ দুপুরে মো. হাসমত আলী ভোলা মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা ও তাঁর এক ভাই মিলে আমার ছেলে হৃদয় মুন্সিকে মারপিট করেছে। হৃদয় এখন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি।’

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. কায়কোবাদ মুন্সি পাপ্পু বলেন, ‘এ ঘটনায় আমাকে অযথা ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একজন মেম্বার হিসেবে আমি সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়েছিলাম।’

বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো. মাসুদ সরদার বলেন, আমরা সকলে মিলে সংঘর্ষ ঠেকানোর চেষ্টা করেছি। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার চেষ্টা চলছে।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত