মোরেলগঞ্জের কলা যেমন স্বাদ তেমনি ঘ্রাণ !

মোরেলগঞ্জে উৎপাদিত সুস্বাদু কলার জনপ্রিয়তা ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ জনপ্রিয়তা এখন বাগেরহাট ছাড়িয়ে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। পুষ্টি চাহিদার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মোরেলগঞ্জের কলা ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল মৌসুমে জেলায় কলা চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭শত হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে দ্বিগুন জামিতে কলা চাষ হয়েছে। আগামী মৌসুমে এ চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে । উপজেলার চিংড়াখালী, রামচন্দ্রপুর, বনগ্রাম ও হোগলাপাশা ইউনিয়নে ব্যাপকহারে কলার চাষ হচ্ছে। কলা চাষের উপর নির্ভর করেই ভাগ্য বদলে সুদিন এনেছে শত শত পরিবার। কলা চাষ, ব্যবসা ও পরিবহনের সাথে জড়িত রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় এ কলার চাহিদা ভাল থাকায় দিনদিন কলা চাষের আবাদ বেড়েই চলেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা পুরন করে সড়ক পথে ট্রাক যোগে এ কলা যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

ট্রাকযোগে কলা নিতে আসা ঢাকা কারওয়ান বাজারের শহিদুল ইসলাম জানান, মোরেলগঞ্জের কলা খেতে সু-স্বাধু হওয়ায় ঢাকার এর বেশ চাহিদা রয়েছে। তিনি আরো জানান, কারওয়ান বাজার মোকামে অনেক ফরিয়া এসে মোরেলগঞ্জের কলার খোঁজ করেন। ঢাকায় মোরেলগঞ্জের কলা এখন ব্রান্ড। সপ্তাহে তিনি ৩/৪ ট্রাক কলা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।

এলাকার কলা চাষি আকবর আলী জানান, এলাকার মাটি ও আবহাওয়া কলা চাষের উপযুক্ত । তাছাড়া কলা চাষে কোন রোগ বালাই নেই বললেই চলে। কলা হয় খুব সুস্বাদু।

মোরেলগঞ্জ সাবেক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিফাত আল-মারুফ জানান, কলা চাষ লাভজনক হওয়ায় মোরেলগঞ্জের চাষিরা কলা চাষ করছেন। এসব কলার মধ্যে রয়েছে অনুপম, সাগর, সবরি, আনাজি, চিনিচাম্পা প্রভৃতি । কৃষিবিভাগ রান্না করে খাওয়ার জন্য উন্নত জাতের কাঁচকলা চারা সরবরাহ ও চাষ করার জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছে। এ ছাড়াও কলা চাষে আমরা সব ধরনের সহযোগিতার পাশাপাশি একই জমিতে দুই অথবা তিন বছরের বেশি সময়ে কলার চাষ না করতে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে জমির উর্বরতা শক্তি মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়বে। আমরা দুই বছর কলার চাষ ও পরের বছরে আবার অন্য যেকোন সবজি আবাদের পর আবারো কলার চাষ করলে জমির ক্ষতি হবে না বলেও জানান ।