চুলকাটি বণিকপাড়া দুর্গা মন্দিরে ১১১টি প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ, চলছে আলোক সজ্জার কাজ

পি কে অলোক

আপডেট : ০৮:৩৩ পিএম, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৩৫১

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাটির ঐতিহ্যবাহী বণিকপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ এখন শেষ, চলছে রং বেরংয়ের লাইটিং আর সাজ-সজ্জার কারু কাজ। জেলার মধ্যে এটিই সর্ববৃহৎ পূজা মন্দির বলে অনেকে মতপোষন করেছেন। এখানে ১১১টি প্রতিমা তৈরী করে সত্য ত্রেতা দ্বাপর আর কলি যুগের নানা দেব-দেবীর কাহিনী নিয়ে পূজা মন্ডপকে আরো সুসজ্জিত করা হয়েছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার আরো বেশি আলোক সজ্জা করা হচ্ছে।


সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সুসজ্জিত এই মন্দিরে প্রবেশ করতেই বাম পার্শ্বে বৃহৎ আকারের দেবী দুর্গার গজে আগমনের একটি দৃশ্য চোখে পড়বে। এর পর সারি-সারি ভাবে দুইপাশ দিয়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। এবং গেট দিয়ে বাহির হওয়ার সময় দেবী দুর্গার নৌকায় গমনের একটি দৃশ্য। সারি-সারি ভাবে ১১১টি প্রতিমা ভক্তদের মনকে আরো আকৃষ্ট করবে। মন্দিরে প্রবেশে নানা রঙ্গের লাইটিং চোখ ধাঁধাঁনো আলোক সজ্জায় চতুর দিক যেন ঝলমল করছে।


ভাস্কর গণেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, গত তিনমাস ধরে তিনি ৪/৫জন কারিগর নিয়ে প্রতিমা তৈরীর কাজ করছেন। তিনি এবার ১১১টি প্রতিমা তৈরী করেছেন। এবার সত্য ত্রেতা দ্বাপর আর কলি যুগের বিভিন্ন দেব-দেবীর কাহিনী নিয়ে পূজা মন্ডপকে সুসজ্জিত করেছেন। এর মধ্যে রাধা-কৃষ্ণের যুগল, ব্রম্ম চারিনী, শিবের মাথায় ভক্তদের জল দেওয়া, লক্ষী-নারায়ন, জগধাত্রী, রাধা-কৃষ্ণের নৃত্য, অহল্লা পাষানী, নিংশিংহ অবতার, দেবীর চন্দ্র ঘন্টা, ১১শিংথীধাত্রী, শৈলপুত্রি, কালরাত্রি, নিমাই ও বিষ্ণু প্রিয়ার মালা বদল, রাধা-কৃষ্ণের দোল, শ্রী রাম চন্দ্রের অকাল বধন, রক্তবীজ বধ, চাঁদ সদাগরের মনসা পূজা, সতীর দেহ ত্যাগ, নৌকা বিলাস, স্বামী বিবেকানন্দ, সীতার অগ্নিপরিক্ষা, মৎস্য অবতার, কুশমন্ডা, হরিচাঁদ-শান্তিমাতা ও হর পাবর্তীর বিয়ে সহ বিভিন্ন দেবী-দেবী অবতার নিয়ে এবার পুরো মন্ডপকে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

চুলকাটি বণিকপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি দিপঙ্কর কুমার সাধু ও সাধারন সম্পাদক গোপাল কুমার দত্তের সাথে আলাপ করা হলে তারা বলেন, আমরা এবার ধরে মোট ২০তম পূজা করছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে সাজ-সজ্জা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত