মোংলায় বাড়ীতে ডেকে নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, ধর্ষক মুসা গ্রেফতার

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১১:০১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর ২০২২ | ৫৪১

ধর্ষক মুসা

মোংলায় ৭ম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী (১৩) ধর্ষনের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের মাকরঢোন সেচবুনিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একই এলাকার ফয়সাল ইসলাম মিঠুর ঘরে ডেকে নিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে মুসা খান নামের এক যুবক। মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষক মুসাকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে।


নির্যাতনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মাকরঢোন সেচবুনিয়া নিজ বাড়ী থেকে আতœীয়ের বাড়ী যাওয়ার সময় একই এলাকার সাইফুল মহুরীর বসত ঘরে ওই ছাত্রী (১৩) কে ডেকে নেয় মুসা খান নামের এক যুবক। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুবাদে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে মুসা খাঁন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। সে মোংলা উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বাবা এলাকায় দিন মজুরের কাজ করেন।

ধর্ষক মুসা (২০) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া এলাকার আঃ হাকিম খানের ছেলে। গত তিন দিন পুর্বে বোন জামাই সাইফুল মহুরীর ছেলে ফয়সাল ইসলাম মিঠুর মোংলার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনার পর পরই মুসা এলাকা থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় বলেও জানায় স্থানীয়রা। এসময় ধর্ষনের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ও তার পরিবারের লোকজন ছুটে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার শাররীক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই ধর্ষক মুসাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযানে নামে মোংলা থানা পুলিশ। ধর্ষক মুসা পালিয়ে মঠবাড়িয়া তার নিজ বাড়ী যাওয়ার পথি মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এব্যাপারে মোংলা থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানায়, মাকরঢোন এলাকার দিন মজুরের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে মুসা নামের যুবক কিন্ত এ ঘটনায় যার বাড়ীতে বেড়াতে এসেছে তাকেও এর দায়ভার নিতে হবে। এছাড়া আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানায় তারা।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র মেডিকেল অফিসার ডাঃ আফসানা নাঈম হাসান বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীর শাররীক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টাফ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এর পর পুলিশ আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন।


মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং ধর্ষক মুসাকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে বলেও জানায় থানার এ কর্মকর্তা।


আর যেন কোন মায়ের সন্তান ধর্ষণের শিকার না হয়, ধর্ষককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী এলাকাবাসীর।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত