যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় ৪ শত মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়

মনজিলুর রহমান আটলান্টা

আপডেট : ০৯:১২ পিএম, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩ | ৪৫৫

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে গতকাল বুধবার (২৮ জুন) মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে । রাজ্যের ক্যাপিটাল সিটি আটলান্টাসহ বিভিন্ন শহর উপশহরের বিভিন্ন মসজিদে বিশ্বের নানান প্রান্তের মুসলিম সম্প্রদায়ের মুসল্লিরা দুই রাকাত ঈদুল আজহার ওয়াজিব নামাজ জামাতে আদায় করে । জামাতে জর্জিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অংশ গ্রহন করে। ৫৯ হাজার ৪২৫ বর্গ মাইলের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৪শত মসজিদ রয়েছে। এসব মসজিদে এক বা একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয় । আবহাওয়া অনুকূল থাকায় মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের স্থান সংকুলন না হওয়ায় মসজিদের বাইরে খোলা আকাশের নিচেও নামাজ আদায় করতে দেখা যায় । পুরুষ মুসল্লিদের সাথে সাথে নারী মুসল্লিরাও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জামাতে অংশ গ্রহণ করে।

জর্জিয়ায় ঈদুল আজহার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যের ক্যাপিটাল সিটি আটলান্টার আল ফারুক মসজিদ অব আটলান্টায় । সেখানে যথাক্রমে সকাল আট , পৌনে নয়, সোয়া নয় এবং পৌনে দশটায় ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জর্জিয়া ইসলামিক সেন্টার লরেন্সভিলে সকাল সাড়ে সাত, সাড়ে আট ও সাড়ে ন’টায় তিনটি জামাত, ইসলামিক সেন্টার অব নর্থ ফুলটন আটলান্টায় সোয়া সাত, সাড়ে আট ও সকাল দশটায় তিনটি জামাত,মসজিদ ওমর বিন আব্দুল আজিজ নরক্রসে সকাল আট ও সকাল সাড়ে ন’টায় দুটি জামাত, মসজিদ আল মদিনা দৌলুতে যথাক্রমে সকাল সোয় সাত সোয়া আট ও সোয়া ন’টায় তিনটি জামাত, ইবাদুর রহমান দাওয়াহ জামে মসজিদ মেরিয়াট্টায় সকাল সাড়ে সাত, আলাটোনা মসজিদ উডস্টক সকাল সাড়ে আট, মসজিদ কোবা বিউফোর্ড সকাল সাড়ে আটটায় একটি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

অঙ্গরাজ্যের ডোরাভিল ও লরেন্সভি সিটিতে বাংলাদেশিদের পরিচালিত আত্তাকোয়া ও দারুসসালাম নামে দুইটি মসজিদ রয়েছে । আত্তাকোয়া মসজিদ সকাল আট ও সকাল ন’টায় দুটি জামাত, এবং দারুসসালামে সকাল ৮ টায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঐ এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশির ভাগই সেখানে নামাজ আদায় করে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন শহর উপশহরের মসজিদগুলোতে এক বা একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা যায় । সব জামাতেই বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এখানে বাসা বাড়িতে কোরবানি বা কোন ধরণের প্রাণী জবেহ করার রীতি নাই। তাই নামাজ আদায়ের পর পরই মুসল্লিরা বিভিন্ন কসাই খানা বা সোলাট হাউসে গিয়ে গরু ছাগল বা মেষ জবেহ করে কোরবানি করে । অনেকে আবার এসব ঝামেলায় না গিয়ে স্থানীয় মুসলিম কম্যুনিটির গ্রোসারী স্টোরগুলিতে অর্ডার দেয়। তারাই তাদের পক্ষে সোলাট হাউসে গিয়ে কোরবানির পশুগুলো জবেহ করে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত