এনটিআরসিএ‘র নির্দেশ উপেক্ষিত, আদেশের আড়াই বছরেও মামলা করেনি প্রধান শিক্ষক

শরীর চর্চা শিক্ষকের সনদ জাল

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:১১ পিএম, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৩০১

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)-এর আদেশের আড়াই বছর পার হয়ে গেলেও বাগেরহাটের চিতলমারী স.ম. ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক সাকিলা পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা করেননি প্রধান শিক্ষক। শুধু সভার মধ্যেই এনটিআরসিএ‘র আদেশকে সীমাবদ্ধ রেখেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এনটিআরসি এর সহকারি পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি ও বিদ্যালয় সূত্রে জানাযায়, সাকিলা পারভীন ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী স.ম. ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) হিসেবে নিয়োগ পান। দুই দিন পরে ১৫ ফেব্রুয়ারী তিনি যোগদান করেন। একই সালের ১ জুন তিনি এমপিও ভুক্ত (বেতন চালু) হন। কিন্তু এনটিআরসিএ যাচাই-বাছাইয়ে শরীরচর্চা শিক্ষক সাকিলা পারভীনের শরীর চর্চা (ব্যাচালর অব ফিজিক্যাল এডুকেশন) বিষয়ক সনদটি জাল প্রমানিত হয়। যার কারণে ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সহকারি পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ সভা করে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করলেও, তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করেননি। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সাকিলা পারভীন কে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা ফোন রিসিভ করলেও, এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজী হননি।

স.ম. ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে, এম রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারি পরিচালক তাজুল ইসলাম স্যারের চিঠি পাওয়ার পর আমরা সভা করে সাকিলা পারভীনের বিল বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি আর স্কুলে আসছেন না। তবে মামলা করা হয়নি। কেন মামলা করেননি এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক।

স.ম. ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি মোঃ তায়জুল ইসলাম তারা ফকির বলেন, ‘সাকিলা পারভীন আমার কাছ থেকে সময় চেয়েছেন। চলতি সেপ্টেম্বর) মাসের মধ্যে সে পদত্যাগ করবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত