শরণখোলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর উপর হামলা: আহত-৩

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৩:৫৫ পিএম, সোমবার, ১৬ এপ্রিল ২০১৮ | ১৭৩২

শরণখোলায় এইচএসসি পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় রাকিব হোসাইন (১৭) নামের এক পরীক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। সে যেনো পরীক্ষা দিতে না পারে সেজন্য তার প্রবেশপত্রও ছিড়ে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের পাইপের মুখ বন্ধ করতে বাধা দেওয়ায় প্রতিবেশীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলা চালিয়েছে তার ওপর। পরে আহত রাকিবকে পুলিশ উদ্ধার করে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামে এঘটনা ঘটে।

এসময় তার ডাক চিৎকারে মা পারুল বেগম (৪৫), বড় ভাই সাইফুল ইসলাম (২০) ও বোন মাসুমা আক্তার (২৫) এগিয়ে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ওই সন্ত্রাসীরা। এসময় বোন মাসুমাকে টেনে হিঁছড়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই দুজনকে সকালেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতাবস্থায় পরীক্ষা শেষ করার পর দুপুরে রাকিবকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।


অভিযোগে জানা যায়, পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন মুন্সীর ছেলে রাকিব হোসাইন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এসময় প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম, রাজ্জাক হাওলাদার, ইব্রাহীম হাওলাদার, বায়েজিদ হাওলাদারসহ ৭-৮জন তাদের বাড়ির সামনে রাস্তার নিচে বসানো পানি নিষ্কাশনের পাইপের মুখ বন্ধ করা ও বাড়ির সীমানার বেড়া ভাঙতে দেখে রাকিব তাতে বাধা দেন। এতে প্রতিপক্ষরা পূর্ব শত্রুতা মেটাতে রাকিবকে গণপিটুনি শুরু করে এবং তার কাছে থাকা পরীক্ষার প্রবেশপত্রটি ছিড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ছুঁটে এলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

এঘটনায় রাকিবের বোন মাসুমা আক্তার বাদি হয়ে হামলার মুল হোতা আলতাফ হাওলাদারের ছেলে কামরুল ইসলামকে এক নম্বর আসামী করে ৯জনের নামে শরণখোলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে প্রতিপক্ষের কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। স্থানীয় ১নম্বর পশ্চিম বানিয়াখালী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিমউদ্দিন সিদ্দিক গাজী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে মারধর ও প্রবেশপত্র ছিড়ে ফেলাটা অমানবিক। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বসে মীমাংসা করা হবে।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, রাকিবকে পুলিশ পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে। এব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত