শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কচুয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন 

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০১:১৫ এএম, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ৩৫৬

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কচুয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন 

শেষ মুহুর্তে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঠ। প্রার্থীরা যে যার মত করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাধারন ভোটারদের। চেষ্ঠা করছেন নিজের পাল্লা ভারী করতে। কচুয়ায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে সব প্রার্থীদের প্রচারনা। ভোটারদের দারেদারে গিয়ে করছেন ভোট প্রার্থনা। এ নির্বাচনে ৪জন প্রার্থী লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার ঘোড়া প্রতিকে, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফি জেমস মোটর সাইকেল প্রতিকে, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কে.এম.ফরিদ হাসান আনারস প্রতিকে, প্রয়াত প্রাক্তন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু দোয়াত কলম প্রতিকে লড়ছেন।


সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। চাচ্ছেন ভোট, এছাড়া বিগত সময়ের ভ’লত্রুটি সংশোধনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করছেন তারা। দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।


ভোটকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা, ওলিতে গলিতে চায়ের দোকান গুলোতে বেড়েছে বেচা বিক্রি। দোকানীদের মাঝেও চলছে উৎসাহ। ভোটাররাও চান তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে।


বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী, তিনি তার বিগত বছরের কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। সেই সাথে চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাচ্ছেন সাধারন ভোটাররা। কচুয়া উপজেলার মানুষ তাকে ভোট দিয়ে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন বলে আশাবাদী তিনি।


জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মীর জয়েসী আশরাফি জেমস মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার মেঝ কাকা প্রাক্তন সাংসদ মীর সাখাওয়াত আলী দারু এর জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অপর এক সাবেক সাংসদ মীর শওকাত আলী বাদশা এর ও ভাইপো তিনি। সভ্য, ভদ্র, শিক্ষিত প্রার্থী হিসাবে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিচ্ছেন ভোটারদের কাছে। তবে তিনি সবার শেষে প্রচারনায় নামলেও, ভোটের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আগামী নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী দাবী করে তিনি জয়লাভেরও শতভাগ আশাবাদী।

জেলা আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কে.এম.ফরিদ হাসান আনারস প্রতিক নিয়ে রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে। তিনিও চেষ্ঠা করছেন ভোটের মাঠে নিজের অবস্থান শক্ত করতে। আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হবেন বলে আশা করেন তিনি।


রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। বাবার মৃত্যুর পর থেকে রয়েছেন নির্বাচনী মাঠে, চষে বেড়িয়েছেন উপজেলার প্রতিটি গ্রাম। বাবার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে চান তিনি। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে তিনিই বসবেন উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে এমনটাই প্রত্যাশা তার।

এ উপজেলার আয়তন ১৩১.৬২ বর্গ কিলোমিটার, আগামী ৮মে উপজেলা নির্বাচনে ৭ টি ইউনিয়নের ৮১ টি গ্রামের ৮৯,৬৯১জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৪,৭৬৪জন ও মহিলা ৪৪,৬২৭জন।


উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নীং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার হিমাংশু প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাদ ও নিরপেক্ষ করতে কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমান আইনশৃংখলা রক্ষকারীবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সব প্রার্থীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিরপেক্ষ রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত