মংলায় সরকারি খাস জমি জবরদখলের অভিযোগ

মংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ১০:০২ পিএম, শনিবার, ১২ মে ২০১৮ | ২৪৯৯

মংলায় পৌর শহরতলীর কলেজ মোড় এলাকায় প্রায় দু’একর সরকারি খাসজমি জবর দখল ও স্থাপনা নির্মানসহ অবৈধভাবে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা ভুমি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রভাবশালী সংঘবদ্ধ একটি চক্র বছরের পর বছর সরকারি ওই সম্পত্তি জবর দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া প্রতিবেশীদের উৎখাতে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে প্রভাবশালী ওই চক্রটি। এমনকি সরকারি জমিতে ঘেরাবেড়া দিয়ে একটি পরিবারের যাতায়াত পথ বন্ধের প্রচেস্টা চালালেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে তা ব্যর্থ হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন-পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, মংলা পৌর এলাকার কলেজ মোড় এলাকায় খন্দকার তারিক, খন্দকার তুহিন ও তুরান গং বছরের পর বছর ধরে এক একর ৬৮ শতক সরকারি জমি জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। এ জমিতে বিভিন্ন ঘর বাড়ি স্থাপনা নির্মান সহ মাছের চাষ করে আসছিল। দীর্ঘদিন ওই জমি জবর দখলের বিষয়টি সম্প্রতি স্থানীয়দের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। উপজেলা ভুমি রাজস্ব দপ্তরের সার্ভে দলের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে সরকারি খাসজমি ভোগ দখলের নেপথ্যের রহস্য। আর এর পরই ওই জমি উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। পরে গত ৯ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় তলব করা হয় অবৈধ দখলকারীদের। এ সময় সরকারি সম্পত্তিতে কোন স্থাপনা নির্মান ও মাছ চাষ বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে জবর দখলকারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রতিবেশী মোকলেছুর রহমান মিঠুর বসত বাড়ির যাতায়াত পথে ঘেরাবেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ ও ভুক্তভোগী পরিবারটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের শরনাপন্ন হলে তার নির্দেশনায় পুলিশ যাতায়াত পথ খুলে দেয়।

মোকলেছুর রহমান মিঠু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগে জানান, তার প্রতিবেশী খন্দকার তারিক, খন্দকার তুহিন ও তুরান গং সরকারি খাস সম্পত্তি দীর্ঘদিন জবর দখল করে রেখেছে। ওই একই জমির অন্য প্রান্তে মিঠু উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মংলা উপজেলা কার্যালয় থেকে ২৫ শতক জমির অনুকুলে ৩৯ বছরের ডিসিআর গ্রহন ও রাজস্ব পরিশোধ সহ ভুমি আইন মেনে বসবাস করছেন। নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে মাটি ভরাট, বৃক্ষরাজী রোপন ও বসত ঘর নির্মান করে স্ব-পরিবারে প্রায় দুই যুগের অধিক সময় ওই জমিতে বসবাস তার। মিঠুর এই বসত ভিটার ওপরও লেলুপ দৃস্টি পড়ে প্রতিবেশী দখলবাজ চক্রের। পরিবার সহ তাকে বিতাড়িত করতে উচ্ছৃংখল,দাঙ্গাবাজ ও ভুমি দস্যুরা পায়তারা করে আসছিল। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খন্দকার তারিক ও তার দুই ভাইয়ের নেত্বৃত্বে ২৫/৩০ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মারমুখী অবস্থায় মিঠুর বসত বাড়িতে প্রবেশ করে এবং জমি ও বসত ঘর ছেড়ে দেয়ার জন্য অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ নানা হুমকি ধামকি দেয়। এর প্রতিবাদ করলে বাড়িতে থাকা লোকজনকে মারধর ও খুন জখম করার উদ্যত হয়। এ ছাড়া সন্ত্রাসীরা মিঠুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র চলাচলের পথ টিনের ঘেরা-বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনায় থানা পুলিশ তার যাতায়াত পথটি উম্মুক্ত করে দেয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত