কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী পালন

শেখ আহসানুল করিম

আপডেট : ০৬:১১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮ | ২০৩৮

অকাল প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী মোংলায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে বৃহস্পতিবার দিনভর কবির গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালীতে পালিত হয়েছে নানা কর্মসূচী। রুদ্রের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রা মিঠাখালী বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রা সহকারে গিয়ে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রুদ্র স্মৃতি সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় কবির স্মরণ সভা।


কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ ছাড়াও মোংলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মোংলা প্রেসকাব, অন্তর বাজাও শিল্পী গোষ্ঠী, সিপিবি, ছাত্র ইউনিয়ন, উদীচী, গণশিল্পী সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে বের হওয়া শোভাযাত্রা মিঠাখালী বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এরপর শোভাযাত্রা সহকারে গিয়ে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে রুদ্র স্মৃতি সংসদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় কবির স্মরণ সভা।

রুদ্র স্মৃতি সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হক। সভায় বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলার আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অনিল বিশ্বাস, শিক্ষাবিদ আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি কর্মী জানে আলম বাবু, রুদ্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো।


এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও মোংলা প্রেসকাবের আয়োজনে সন্ধ্যায় প্রেসকাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসকাবের সভাপতি এইচ,এম দুলাল। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম সরোয়ার, সুজন সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার ও গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস। স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক মো. নূর আলম শেখ। স্মরণ অনুষ্ঠানে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশিত হয়।


‘ভালো আছি ভালো থেকো, আঁকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’ গানের ¯্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত