সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও ফল পায়নি এলাকাবাসী

চিতলমারীতে বালি উত্তোলনের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১০:০৩ পিএম, রোববার, ১৫ জুলাই ২০১৮ | ১৯৬৮

বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক কোটিপতি নারী সুরশাইল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করে চলছেন। আর তার এ অবৈধ কাজে যাতে কেউ বাঁধা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য তিনি এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধিকে হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছেন। ফলে দিনের পর দিন অবৈধভাবে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করলেও ভয়ে কেউ টু শব্দটি করতে পারেনি। এমন অভিযোগে রোববার দুপুরে গ্রামবাসীদের পে সুরশাইল গ্রামের মোঃ কাসেম আলী শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


অভিযোগপত্রে জানাগেছে, উপজেলা সুরশাইল গ্রামে হঠাৎ করে কোটিপতি বনে যাওয়া মিতালী মন্ডল চার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। আর এ বিল্ডিং মেঝের বালুর যোগান দিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাশে সুরশাইল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের একটি জায়গা হতে লাখ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। তার এ অবৈধ কাজকে সহজে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীকে জনপ্রতিনিধিকে হাতের মুঠোয় নিয়েছেন। কিন্তু ওই সকল প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকিতে থেমে থাকেনি গ্রামবাসী।


এ ব্যাপারে সুরশাইল গ্রামের মোঃ কাসেম আলী সেখ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আজ থেকে চার পাঁচ বছর আগে ্ওই মিতালী খোর পোষের জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। আজ সে কোটি কোটি টাকার মালিক। এটা কিভাবে সম্ভব? তার এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে প্রথমে গ্রামবাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজে বাধা দিতে গেলে পুলিশ তাদের হয়রানি করে। কোন উপায় না পেয়ে রোববার দুপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গ্রামবাসীর পে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেেিত ওই বালু উত্তোলনের কাজ বন্ধ করে দিলেও বালু উত্তোলন থেমে থাকেনি। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বৃদ্ধ কাসেম আলী সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোকে মিতালীর আয়ের উৎসকেও খতিয়ে দেখার দাবি জানান।


মিতালী মন্ডল ওরফে মিতালী সিংহ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বাগেরহাটের এক হাজীর ্ওই জমি কিনেছেন। তার ক্রয়কৃত জমি থেকেই তিনি বালু উত্তোলন করছেন।


ড্রেজার মালিক মোস্তাফিজুর বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার চুক্তিতে তিনি ওই নির্মাণাধীন ভবনের বালু উত্তোলন করছেন।


এ ব্যাপরে চিতলমারী থানার এসআই স্বপন কুমার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মিতালীর অভিযোগের প্রেেিত উভয় পকে থানায় ডাকা হয়েছিল। এ ব্যপারে শালিস বৈঠকের কথা রয়েছে।


এ ব্যপারে চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ বাবুল হোসেন খান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, প্রতিবেশিদের তি করে এভাবে বালি উত্তোলন করা ঠিক নয়। ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক।


তবে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুসাঈদ মুঠোফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেে যদি সরকারি জমি প্রমানিত হয় তবে বালু কাটা বন্ধ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত