মোল্লাহাট উপজেলা সমাজ সেবা অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

শেখ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোল্লাহাট

আপডেট : ০৫:২০ পিএম, বুধবার, ১ আগস্ট ২০১৮ | ৮৯১

মোল্লাহাট উপজেলা সামাজ সেবা অফিসার মোঃ মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে রাতের আধারে সরকারী মালামাল বিক্রির চেস্টাসহ সিমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে জেলার জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডট কম এ প্রকাশিত সংবাদের তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও বাগেরহাট জেলার সহকারী পরিচালক মোঃ খলিল আল রশিদ এ তদন্ত করেন।


মোল্লাহাট উপজেলা সমাজসেবা অফিসে তদন্তকালে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত হলে তাদের সামনেই বিভিন্ন ফাইল দেখেন ওই কর্মকর্তারা। এসময় ভাতা প্রদানে প্রস্তুত নাম তালিকার রেজুলেশন বহিতে ফুইড দ্বারা নাম মুছে নতুন নাম লেখাসহ বেশ কিছু অনিয়মের প্রমান পাওয়া যায়। এছাড়া তদন্তকালে সরকারী মালামাল বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করলেও ওই সকল মালামাল সমাজসেবা অফিসের না বলে বোঝাতে ব্যার্থ চেষ্টা করেন অভিযুক্ত সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।


এসময় বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আলাপকালে উল্লেখ করেন,অভিযুক্ত অফিসার এরপূর্বে একবার চাকুরিচ্যুত হয়েছিলেন, পরে চাকুরী ফিরে পেয়ে তার সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো। এরপরেও যেহেতু নিজেকে সুধরাতে পারেনি, সেহেতু ন্যুনতম এখান থেকে অন্যত্র বদলী প্রয়োজন।


উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে সরকারের যাতীয় সেবামূলক কর্মকান্ডে ঘুষ নেয়া ও কৌশলে অর্থ আতœসাত করা এ কর্মকর্তার নেশা। আর এ কারণে তিনি ইতি পূর্বে চাকুরী থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন। বহুচেষ্টা-তদ্বির করে চাকুরী ফিরে পেলেও সীমাহীন অর্থের মোহে তিনি কিঞ্চিত নিয়মের পথে ফিরতে বা শোধরাতে পারে নি নিজেকে।


ওই সকল অনিয়ম-দুর্নীতির ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিসের বেশ কিছু মালামাল ভাঙ্গাড়ী দোকানে নিয়ে বিক্রি করছিলেন তিনি। নিয়ম না মেনে রাতের আধারে সমাজসেবা অফিসার নিজে মালামাল বিক্রিকালে তাকে আটক করে স্থানীয়রা।


পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহবুবুল আলমের নির্দেশে বিক্রিত মালামাল ফেরত নিয়ে রক্ষা পান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত