ফকিরহাটে বানিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষে সাবলম্বী হচ্ছে চাষী

জিএম মিজানুর রহমান

আপডেট : ১০:২২ পিএম, সোমবার, ৬ আগস্ট ২০১৮ | ১২০২

ফকিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় ঘেরের পাড়ে ও পতিত জমিতে বানিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষে উৎসাহ বাড়ছে চাষীর। অনেকেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক মুক্ত পেঁপে চাষ করে সাবলম্বি হয়েছে। এদের মধ্যে শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের চাষী মোঃ মনিরুজ্জামান শেখ অন্যতম। তিনি এক বছর আগে দেড় একর জমিতে ১৫শ’ পেঁপে গাছ লাগান। ইতিমধ্যে তিনি ৩লক্ষ টাকার পেপেঁ বিক্রি করেছেন।


তিনি জানান, ঘেরের পাড়ে প্রায় দুই একর জমি আনাবাদি পড়ে ছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শে মাঁদা পদ্ধতিতে এপ্রিলের প্রথম দিকে স্থানীয় উন্নত জাতের পেঁপের চারা উৎপাদন করা হয়। চারা রোপনের পূর্বে এক ফুট দৈর্ঘ্য ও এক ফুট প্রস্থ গর্ত করে জৈব সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে নিম পাতা দিয়ে এক সপ্তাহ গর্ত ভরে রাখা হয়। প্রায় দেড় মাস বয়সী চারা রোপনের তিন মাস পর গাছে ফুল আসে। তার চার মাস পর থেকে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। পাকা ফল অধিক জনপ্রিয় হলেও বিপনন ব্যবস্থার প্রতিকুলতা থাকায় কাঁচা ফল সবজি হিসাবে বিক্রি করা হয়। প্রায় চার মাসে ৩লক্ষ টাকার পেঁপে বিক্রি করা হয়েছে। একটি গাছ ২/৩বছর ফল দেয় তাই তিনি আশাবাদী কোনরুপ বৈরি পরিস্থতি তৈরি না হলে আরও ১০লক্ষ টাকার পেপেঁ তিনি অনায়াসে বিক্রি করতে পারবেন। এ পর্যন্ত বিপনন থেকে শুরু করে চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা।


দিলমহাম্মদ, মোঃ আল-মামুন শেখ, মোঃ মহাশিন শেখ, রঞ্জন বিশ্বাস, মোস্তফা শেখ, রনজিৎ বিশ্বাস, শুকুরালি, গবিন্দ কুন্ডুসহ স্থানীয় চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পেপেঁ চাষ অন্যান্য সবজির তুলনায় অধিক লাভ জনক। বেলে দো-আঁশ মাটিতে উচু জমিতে এটি ভাল ফল দেয়। রোগবালাই তুলনামুলক কম হওয়ায় শুধু জৈবসার ব্যবহারের মাধ্যমে পেঁপে চাষ করা যায়। তাই অনেকেই সবজির নিজস্ব চাহিদা মিটাতে ও বানিজ্যিক ভিত্তিতে এটি চাষ করছেন।


উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিপায়ন দাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, স্থায়ী ভাবে সবজির উৎপাদন বাড়াতে চাষীদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় পতিত জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি সল্প পুজি খাটিয়ে বানিজ্যিক ভিত্তিতে স্থানীয় জাতের পেঁপে চাষে উৎসাহিত হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত