বাগেরহাট জেলা বিএনপির কয়েক নেতার ক্ষোভ

জেলা মহিলাদলের সম্মেলন খুলনায়

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:৪৪ পিএম, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭ | ১০৭২

জেলা মহিলাদলের সম্মেলন

বাগেরহাট জেলা মহিলা দলের কর্মীসভা ও সম্মেলন খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা মহানগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস। বাগেরহাট জেলা মহিলা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম। প্রধান বক্তা ছিলেন মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ স¤পাদিকা সুলতানা আহমেদ। অধ্যাপক নার্গিস আক্তার লুনার সঞ্চালনায় ওই সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান দীপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ফিরোজা বুলবুল
কলি, জেলা বিএনপির সাধারণ স¤পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবু।


অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলাদল নেত্রী অ্যাডভোকেট আক্তারুন্নেছা, শিরিনা আক্তার, আফরোজা বেগম, কোমেলা বেগম, আসমা আজাদ, সাবিনা ইয়াসমিন টুলু ও নার্গিস আক্তার ইভা।

এ সময় মহিলাদল খুলনা মহানগর সভাপতি রেহানা আক্তার ও জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট তছলিমা খাতুন ছন্দা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্ভোধনী বক্তৃতায় জাতীয়তাবাদী মহিলাদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, এই সরকার চাঁদনীদের মতো মেধাবী কোমলমতি মেয়েদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। অথচ শাসক দলের নেতানেত্রীদের ছত্রছায়ায় শুভর মতো ল¤পট কুলাঙ্গাররা দিনে দিনে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। চাঁদনী হত্যার বিচার দাবিতে তিনি মহিলা দলকে রাজপথে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

অপরদিকে বাগেরহাট জেলা মহিলাদলের কর্মিসম্মেলন খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির কয়েক নেতা। জেলা বিএনপির নেতাদের কিছু না জানিয়ে এই নাটক করা হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবাদে কোনো কর্মসূচি তারা পালন করেননি উল্লেখ করে নেতারা প্রশ্ন রাখেন, সম্মেলনের নাটকের নামে খুলনায় আসলেও ওই সব কর্মসূচিতে তারা খুলনায় আসেন না কেন?

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম খান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স¤পর্কহীনতার কারণেই জেলার নেতৃত্ব পালিয়ে বেড়ান। দলের ১৮ জন সহসভাপতি অথচ ১/২ জন ছাড়া কেউ এই সভায় নেই। তিনি আরো বলেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপি এখন কোমায় আছে, বাঁচাতে হলে কমিটি ভেঙে নতুন নেতৃত্ব দেওয়া জরুরী। তা না হলে জেলায় বিএনপিকে বাঁচানো যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত