ভোটের মাঠে মোরেলগঞ্জের তেলীগাতি ইউনিয়ন

শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের সমাজে মাথা উচু করে দাড়াবার পথ দেখিয়েছেন

এম.পলাশ শরীফ

আপডেট : ০৩:৩৯ পিএম, মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৮৮০

জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, তোমার এ ভাঙ্গা সংসারে এমন অনুভূতি চোখে মুখে কি যেনো বলতে চাচ্ছে ওরা। সমাজের বোঝা নয় এখন এ প্রতিবন্ধীরা। সহনোভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা। তাই এ প্রতিবন্ধীদের পিতা মাতাদের ফরিয়াদ যিনি দেখিয়েছেন সমাজের মাথা উচু করে দাড়াবার পথ। তাকেইতো ভোট দিবো। শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চাই। আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভালো ছিলাম, দিনগুলো ভালোভাবে কেটেছে। এ রকম একাধিক অভিমত ব্যক্ত করেন সংবাদ কর্মীদের সাথে।


মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার তেলীগাতি ইউনিয়নের ঢুলিগাতি গ্রামের শারিরীক প্রতিবন্ধী হারুন অর রশীদ (১৪), একই গ্রামের শাহানারা আক্তার (৮) এ দুই পরিবারের অভিভাবক শাহাদাত খলিফা ও শাহাজাহান শেখ। কথা হয় শাহাদাতা খলিফার সাথে তিনি পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। সংসারে স্ত্রী, ৩ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে এদের পরিবার। কোনোমতে দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ছোট ছেলে হারুন অর রশীদ জন্ম থেকেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। ৮ কাঠা জমির ওপর তার বসত বাড়ি। বড় মেয়ে সালমা আক্তার এইস,এসসি পাশ ও মেঝো ছেলে তারন খলিফা এইচ এসসি ২য় বর্ষের ছাত্র। এদের লেখাপড়ার খরচ জোগান দিতে হয় দিনমজুর কাজ করে। তার পরেও ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী হারুন অর রশীদের ওপর ভালোবাসার কমতি নেই। সে সমাজের বোঝা নয়। এরকম অনুভূতির কথা বলেন, একজন প্রতিবন্ধীর পিতা শাহাদাত খলিফা। তিনি বলেন, ৮ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা পান তার ছেলে হারুন অর রশীদ। প্রতি ৬ মাস পর পর ব্যাংক থেকে ৩,৬০০ টাকা উত্তোলন করে। এ বছরে প্রতিমাসে ১শ’ টাকা আরো বৃদ্ধি হয়েছে।


এ সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকেই আমরা আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এ রকম কথা হয় একই গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী শাহানারা আক্তার (৮) পিতা মো. শাহাজাহান শেখের সাথে। তার সংসারে ৪ ছেলে, ২ মেয়ে দিনমজুরে কাজ করে কোনোমতে দিনাতিপাত করছে। ৫ কাটা জমির ওপর তার বসতবাড়ি। বড় ছেলে হাসান চট্রগ্রামে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। মেঝো ছেলে সাইফুল শেখ সেলিমাবাদ ডিগ্রী কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র। সেজো ছেলে মো. ইমরান শেখ একই কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। ছোট ছেলে শাকিল শেখ ঢুলিগাতি এম.টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। এদের লেখাপড়ার খরচ জোগান দিতে হয় তার এ দিনমজুরের কাজ করে। ছোট মেয়ে শাহানারা আক্তার জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী। বিগত ৪ বছর ধরে সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুবই ভালো আছেন। আর এ ভালো থাকার পিছনে সরকারি সহযোগিতা করছে বিগত প্রধানমন্ত্রী। আর এ জন্যই আমারা নৌকায় ভোট দিতে চাই।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তেলীগাতি ইউনিয়নটি ১৫টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। স্বাধীনতার যুদ্ধে দেশ মাত্রিকারজন্য জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ অবদান ছিলো এ ইউনিয়নে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টের প্রাক্তন কৃষি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল আজিজের জন্মস্থান এ ইউনিয়নে। ইউনিয়নটির জনসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার, ভোটার রয়েছে ৮ হাজারের বেশী, ভোট কেন্দ্র ৫টি। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পান ৫৫ জন, ভিজিডি পান ১৩৮ জন, বয়স্কভাতা পান ৫২৩ জন, বিধবা ভাতা পান ৩২৮ ও প্রতিবন্ধী ভাতা পান ১১৭জন, বিশেষ ভিজি’এফ পান ২২শ’ ৮ পরিবার, ১০ টাকার চাল পান ১ হাজার ২৫ পরিবার। বিগত ৫ বছরে এ ইউনিয়নে উন্নয়ন বরাদ্ধের কাজ হয়েছে ১০ কোটি টাকারও বেশী।


এ বিষয়ে তেলীগাতি ইউপি চেয়ারম্যান বাগেরহাট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মোরর্শেদা আক্তার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা গ্রাম-গঞ্জের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক বরাদ্ধ দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সাধারণ ভোটাররা আবারো শেখ হাসিনার নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন বলে তিনি আশাবাদি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত