আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ

রামপালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং বানিজ্যের অভিযোগ

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:৪১ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৯ | ২৮১৬

কোচিং সেন্টার বন্ধে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও রামপালের বিভিন্ন স্থানে সু-কৌশলে চলছে কোচিং সেন্টার গুলো। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি থাকার পরও এক শ্রেণির অসাধু শিক্ষক কোচিং সেন্টার খুলে চালাচ্ছেন কোচিং বানিজ্য।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখাজায় আইসিটি শিক্ষক মলয় রায়কে কলেজের করে দরজা বন্ধ করে ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কোচিং করানো দেখা জায় । দরজা খুলতে বললে ওই শিক্ষক মলয় রায় দরজা খুলে দেন। এরপর ভেতরে গিয়ে জানতে চাওয়া হয় কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও আপনি কেন কোচিং করাচ্ছেন ? এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি কোন কোচিং করাচ্ছি না, তাদের অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছি। এসময় খবর পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ ফরহাদ হোসেন ওই রুমে প্রবেশ করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কেন আপনার কাসের রুম ব্যবহার করে আইসিটি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোচিং করাচ্ছেন ? তিনি অফিসে ডেকে নিয়ে অনুমতি ছাড়া কেন ছবি তুললেন, কেন আসলেন বলে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষকরা সাংবাদিক কিনা এমন প্রশ্ন তুলে বের হয়ে যেতে বলেন। ওই সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আইসিটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ দূর্বল, যে কারণে তাদের অতিরিক্ত ক্লাস করানো হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ওই শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমত পাঠদান না করার কারণে ছেলে-মেয়েরা গত বছর রেজাল্ট খারাপ করেছে। ওই শিক্ষকের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে ১ হাজার টাকা করে দিয়ে পড়াতে হচ্ছে। কোথাও কোন জায়গায় নালিশ দিলে ফেল করানোর হুমকি প্রদান করেন । এসব বিষয়ে ওই শিক্ষক মলয় রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এব্যাপারে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং কাউকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত