চিতলমারীতে সাংবাদিকদের কর্মবিরতি

‘সাংবাদিক’ স্টিকার লাগিয়ে চশমা দোকানীর নির্বাচন পর্যবেক্ষণ !

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৩:৪৩ পিএম, রোববার, ৩১ মার্চ ২০১৯ | ২৬৮৬

চিতলমারী উপজেলায় কর্মরত প্রথম শ্রেনীর জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পরিচয়পত্র না পেয়ে রবিবার কর্মবিরতি পালন করেন। অপরদিকে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজে মোটরসাইকেলে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার লাগিয়ে একজন চশমা দোকানদারকে ভোট কেন্দ্রে ঘুরতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, ‘সাংবাদিক’ স্টিকারধারী বাসুদেব মন্ডলের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার বড় বাড়িয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে। তিনি গোপালগঞ্জের একজন চশমা দোকানদার। বড়বাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে রবিবার মোটরসাইকেলে অবস্থানকালে বাসুদেবের হাতে সিগারেট জ্বলছিল। কিভাবে তিনি ‘সাংবাদিক’ স্টিকার পেয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেব মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ সরদারের ড্রাইভার হিসেবে তিনি ইউএনওর নিকট থেকে ‘সাংবাদিক’ স্টিকার পেয়েছেন।

চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ আবুসাঈদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, পাঁচজন সাংবাদিক ও তাদের পাঁচটি গাড়ির পরিচয়পত্র বরাদ্দ ছিল। তা দিয়ে দেয়া হয়েছে।

চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি শেখর ভক্ত বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, চিতলমারী সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবুসাঈদ বিগত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক কার্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকৃত সংবাদকর্মীদের জন্য মাত্র দুটি কার্ড বরাদ্দ করেন।

দৈনিক যুগান্তরের চিতলমারী প্রতিনিধি সাংবাদিক সাফায়েত হোসেন সাফা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, রবিবার নির্বাচন চলাকালে দেখা যায়-গোপালগঞ্জের একজন চশমা দোকানদার, একজন এনজিও কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা সাংবাদিক পর্যবেক্ষকের পরিচয়পত্র নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ- দৈনিক যুগান্তর, সমকাল, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, এসটিভি বাংলা, একাত্তর টিভি, নয়াদিগন্ত, ভোরের ডাক, গ্রামের কাগজ, পূর্বাঞ্চলসহ ১০-১২টি প্রথম সারির গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিনিধি রয়েছেন। এদের জন্য মাত্র দুটি পর্যবেক্ষক কার্ড বরাদ্দ হয়। বিষয়টি দুঃখজনক।

এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরি সভায় সাংবাদিকরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজ বর্জন করার ঘোষণা দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত