সুন্দরবনে হরিণ শিকারীদের তৎপরতা থামছেনা

মাসুদ রানা,মোংলা 

আপডেট : ১২:১৭ পিএম, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ | ৭৫৭

সুন্দরবনে কোনভাবেই চোরা শিকারীদের তৎপরতা রোধ করা যাচ্ছেনা। আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি সত্ত্বে ও থেমে নেই হরিণ শিকার। সুন্দরবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায়ই সময় আটক হচ্ছে হরিণের মাংসসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার।গত কয়েক বছরে কোস্টগার্ড বাহিনীর অভিযানে পূর্ব সুন্দরবনের মংলা, জয়মনি, চাঁদপাই, কটকা, আন্ধারমানিক, নলিয়ান,সহ বনের বিভিন্ন জায়গা থেকে হরিণের মাংস, চামড়া, হরিণ ধরার ফাঁদসহ হরিণ শিকারী আটক করা হয়েছে।

গত শনিবার (১১ মে) গভীর রাতে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক এলাকায় একটি চক্র হরিণ শিকারের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে গোপন সূত্রে এমন সংবাদ জানার পর ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে। এসময় চোরা শিকারীরা কোস্টগার্ড বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে আগেই সটকে পড়ে। ঘটনা স্থল থেকে জবাইকৃত হরিণের একটি চামড়া,একটি মাথা ও ১৫’শ দাইন ফাঁদ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত হরিণের চামড়া ও মাথা স্থানীয় বনবিভাগ অফিসে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং হরিণের শিকারের কাজে ব্যবহৃত ১৫’শ দাইন ফাঁদ আগুনে পুড়িয়ে ভষ্মিভূত করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ মার্চ সুন্দরবনের হারবারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি হরিণের মাংস, ২ ২টি মাথা ও ২ টি চামড়া জব্দ করেছে কোস্টগার্ড।

এছাড়াও পশ্চিম সুন্দরবনের শিবসা নদী, কয়রা নদী, জোড়াশিং, হড্ডাসহ অন্যান্য এলাকা থেকে হরিণের মাংস আটক হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাচার হওয়া হরিণের মাংস চোরা শিকারীরা গোপনীয়তা বজায় রেখে ৪/৫শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরবন এলাকায় বেড়াতে আসা লোকজনের মেহমানদারীতে চোরা কারবারীরা চড়া মূল্যে হরিণের মাংস বিক্রি করে থাকে। বন বিভাগ পরিচালিত টাইগার টিম, স্মার্ট পেট্রোলিং টিম হরিণ শিকার রোধে তৎপর থাকলেও শিকারীদের দৌরাত্ব ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

জানা গেছে, চোরা শিকারী মাছ ধরার পাশপারমিট নিয়ে গোপনে হরিণ শিকারে নেমে পড়ে। অনেক সময় তাদের সনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে।জানতে চাইলে কোস্টগার্ড বাহিনী পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, সুন্দরবনে চোরা শিকারীরা চোরাই পথে বনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড বেশ কয়েকজন চোরা শিকারী ও বণ্যপ্রাণী পাচারকারীকে আইনের আওতায় এনেছে। এছাড়া বনজ সম্পদ সুরক্ষা ও বণ্যপ্রাণী পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাহিনীর নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত