আ.লীগের দুই নেতা হত্যা মামলা

মোরেলগঞ্জে চেয়ারম্যান ও ৫ মেম্বারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:০৯ পিএম, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯ | ২৯৯০

মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই নেতা হত্যার ঘটনায় দলীয় চেয়ারম্যান ও পরিষদের ৫ মেম্বরসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেছে পুলিশ। দীর্ঘ ৮ মাস তদন্ত শেষে বুধবার বাগেরহাট আমলী আদালতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা থানার ওসি(তদন্ত) ঠাকুর দাস মন্ডল চার্জশীট দাখিল করেন। মামলার বাদি মো. ফরিদ আহম্মেদ এ সময় তার সাথে ছিলেন।



চার্জশীটে মোট ৫৮জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি হত্যায় অংশ নেয় ১৯জন। যার প্রধান অভিযুক্ত হচ্ছেন দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের আ. লীগ দলীয় চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকির(৫৫)। অপর অভিযুক্তদের মধ্যে পরিষদের ৫ জন মেম্বর, ১জন দফাদার, ১জন চৌকিদারসহ একই দলের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।



দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে গত ১লা অক্টোবর বেলা ৩টার দিকে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনছার আলী দিহিদার(৫২) ও শুকুর শেখকে(৪০) বাড়ি থেকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়।


চার্জশীটে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা আনছার আলী ও শুকুর শেখের হত্যা মিশনে সরাসরি অংশ নেয় ১৯জন। যার নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান শহিদুল ফকির। এ জোড়া হত্যাকান্ডে মোট ৫৮জনের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। মামলার বাদি নিহত শুকুর শেখের ভাই ফারুক আহম্মেদ দাখিলকৃত চার্জশীটে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ঠকুর দাশ মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জোড়া হত্যার ঘটনায় থানা ও কোর্টে পৃথক ৩টি মামলায় মোট ৭৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। তদন্তে কিছু বাদ পড়েছে, কয়েকজনের নাম যুক্ত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তে স্থানীয় ৫৪ জনসহ মোট ৮২ জনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।



ঘটনার দিন (১ অক্টোর ২০১৮) থেকে তদন্ত চলাকালে পুলিশ এ মামলার আলামত হিসেবে একটি সিঙ্গেল শর্ট এলজি, ৬ চেম্বারের একটি রিভলবার, ১২ বোরের একটি শর্টগান, শরীর থেকে বের করা গুলির দুটি ধাতব পিলেট, ১২ বোরের ২ রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ, ১ রাউন্ড ৯ এমএম ক্যালিবারে ফায়ার্ড কার্তুজ, রক্তমাখা দাও, লাঠি, ছোরা, কুড়ালসহ অনেক আলামত জব্দ করেছে। মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকিরসহ ২৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উচ্চ আদালত থেকে সাময়িক জামিনে আছেন ১ জন ও পলাতক ৩১ জন।

মামলাটি তদন্তকালে জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছেন এবং থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম তদন্তে সহযোগীতা করেছেন বলে ও তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত