পশু চিকিৎসার জন্য ৩ সদস্যর মেডিকেল টিম

চিতলমারীতে কোরবানির হাটে ক্রেতাদের পছন্দ মাঝারি ও ছোট গরু

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৫:৩৮ পিএম, বুধবার, ৭ আগস্ট ২০১৯ | ৬৬০

বাগেরহাটের চিতলমরীতে জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদূল আযহা যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে গরু-ছাগল বেচাকেনা। স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি হাটগুলোতে ভিড় করছে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীরা। এ বছর বড় গরুর চাহিদা কম। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারী আকারের গরু। এ উপজেলার হাটগুলোতে ভারতীয় গরু না আসায় ভালদাম পেয়ে খুশি স্থানীয় বিক্রেতা ও খামারীরা। দাম বেশী হলেও পছন্দ মতো গরু কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ক্রেতারা। অপরদিকে, হাটে আনা গরু অসুস্থ্য হলে তা চিকিৎসার জন্য ৩ সদস্যর মেডিকেল টিম রয়েছে।

বুধবার বিকেলে চিতলমারী গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট বড় মাঝারিসহ বিভিন্ন আকারের অসংখ্য গরু উঠেছে। হাটে কথা হয় কলিগাতি গ্রামের সাইফুল ইসলামের সাথে। তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ বছর হাটে পছন্দ মতো গরুর অভাব নেই। তার সাধ্যের মধ্যে ৭৫ হাজার টাকায় মাঝারি আকারের একটি গরু কিনতে হাটে এসেছেন। গত বছরও এ ধরনের গরু ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

তিনি আরো জানান, এবার ভারতীয় গরুর চাপ কম থাকায় স্থানীয় বাজারে দেশি গরুর দাম একটু বেশি। হাটে কচুয়া উপজেলার দেপাড়া থেকে আসা এক গরু ব্যাবসায়ী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ উপজেলার বিভিন্ন হাট থেকে তিনি ছোট ও মাঝারি আকারের গরু কিনে ইন্দিরহাট ও ঢাকা নিয়ে বিক্রি করেন। এবার ভারতীয় গরুর চাপ কম থাকায় স্থানীয় বাজার থেকে চড়া দামে গরু কিনতে হচ্ছে। তারপরও তার লাভ হচ্ছে। তবে শেষ সময়ে দেশে ভারতীয় গরুর চাপ বাড়লে দেশীয় গরুর খামারী ও ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা খামারী ও ব্যাবসায়ীরা জানান, এবার বিভিন্ন হাটে ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশী। এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পরমেশ গোলদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, হাটে আনা গরু অসুস্থ্য হলে তা চিকিৎসার জন্য ৩ সদস্যর মেডিকেল টিম রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত