নারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত

চিতলমারীতে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি !

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৪:৪৯ পিএম, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৬২৭

চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। প্রায়ই এমন চাঁদাবাজির কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ছে বাজারে আসা নারী ও শিশুরা। শুক্রবার দুপুরে ক্ষোভের সাথে এমনটাই জানালেন উপজেলা সদর বাজারের ব্যবসায়ীরা।

সদর বাজারের ুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন, শুক্রবার সকালে বাজারের বিপদ ঘোষের মোড় এলাকা থেকে বড় একটি হাতি হানা দেয়। হাতির মাহুত (হাতি পরিচালনাকারী) দোকান প্রতি কমপে ১০-৫০ টাকা করে আদায় করেন। হাতি নিয়ে দোকানের সামনে এসে দাঁড়ান, টাকা না দেওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে হাতি সরানো হয় না। এভাবে টাকা আদায়ের কারণে তাদের বেচাকেনাতে ও সমস্যা হয়।

বাজারের ব্যবসায়ী বিকাশ বালা, রিপন রায়, নজরুল ইসলাম, শামীম শেখ, ফারুক গাজী ও বিশ্ব দেবসহ অনেকে ােভ প্রকাশ করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাতি নিয়ে এসে বাজার থেকে চাঁদা আদায় করা হয়। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিটি দোকান থেকে হাতি দিয়ে টাকা ১০-৫০ টাকা তোলার নামে চাঁদাবাজি করা হয়। এতে বাজারে আসা নারী, পথচারী ও শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তাদের কাছ থেকেও টাকা নেয়া হয়।
তারা আরও জানান, প্রতিদিনই নানা খাতে টাকা দিতে হয়। বর্তমানে হাতিকেও দিতে হচ্ছে। এটি খুবই পীড়াদায়ক।

হাতি পরিচালনাকারী (মাহুত) জানান, হাতি নিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খাবারের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়। তবে টাকা নেওয়ার সময় কাউকে জোর করা হয় না। লোকজন যা দেয়, তাই নেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বনের পশু পালনের জন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। হাতি সার্কাস দলে পালনের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বন্য এসব পশুর যাবতীয় দায়িত্ব মালিকের। এভাবে টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত