রামপালে নৈশ্য প্রহরীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
আপডেট : ০৫:২৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৮৬৪
রামপালে আবারো একটি স্কুলের নৈশ্য প্রহরী-কাম দপ্তরীর বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর প্রতিবন্ধি ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসি, অভিভাবক ও এসএমসির সদস্যরা ওই দপ্তরীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
জানাগেছে, উপজেলার বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী-কাম দপ্তরী চৌধুরী আবুবকর গত ৫ সেপ্টেম্বর ৫ম শ্রেণীর মডেল টেষ্ট পরীক্ষার সময় এক প্রতিবন্ধি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা নাহিদুল করিম গত ১২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটি জরুরী বৈঠক করে ওই দপ্তরীকে শোকজ করেন। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবারো তাকে শোকজ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীর মাতা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আমার প্রতিবন্ধি মেয়েকে ওই লম্পট যৌন নির্যাতন করেছে, আমি এর সঠিক বিচার চাই। এর পূর্বে ও ওই বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর অপর এক শিক্ষার্থীকে অনুরূপভাবে গত ২১আগষ্ট যৌন নিপীড়ন করেছে বলে তার অভিভাবকরা দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে এসএমসির সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন এবং প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত চৌধুরী আবুবকরের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক অভিযোগ পেয়ে ৩ শিক্ষিকাকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তদন্তে আমি নির্দোষ প্রমানিত হই কিন্তু সেই তদন্তের কপি ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ইতিপূর্বে উপজেলার তালবুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী-কাম দপ্তরী ফরিদ আকুঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত চলছে।
এ সকল বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। সত্যতা পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।