অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগ

বঙ্গোপসাগরে দু’টি ফিশিং ট্রলারসহ ২৩ ভারতীয় জেলে আটক

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:৩৬ পিএম, শুক্রবার, ৪ অক্টোবর ২০১৯ | ৫৭৫

বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে দু’টি ফিশিং ট্রলারসহ ২৩ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌ-বাহিনী। বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলরত জাহাজ “বিএনএস কর্নফুলী” ওই জেলেদের ট্রলারসহ আটক করে। শুক্রবার বিকেলে আটককৃত জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা। পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের সামুদ্রীক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মামলা দায়ের শেষে থানা থেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধূরী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় বানৌজা কর্নফুলি বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার আনুমানিক ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিম কোন এলাকায় নৌ বাহিনীর জাহাজ বিএনএস কর্ণফুলী টহলদানকালে এফবি আমৃথা ও এফবি স্বর্র্ণদ্বীপ নামক ভারতীয় ওই ট্রলার দুটি আটক করে। আটক জেলেরা হচ্ছে-আপ্পান্না (৩৫), আপার্নœা (৩৮) রাম (২১), রামু (৩০), বি দানিয়া (৩৯), নারিশাম্মা (৩৫), পাঔলিয়া (৩০) আভি (২১), দুত কুমার ভূইয়া (৪৭), কার্তিক জেনা (৪৮), কালিপদ সামন্ত (৫৫), প্রনব মন্ডল (২৯), নিরঞ্জন দাস (৪৮), পরিতোষ মৃধা (২৭), বিজয় কান্দি দাস (৪৮), পুরকাইত (৪৮), গুরু পদ জানা (৪৫), অনিল পুর কাইত (৪০), বিশ্বজিৎ সাহ (৩৪),' নিরুদ দাশ(৫৮), শ্রীমন্ত দাস (৩৫), সুকুমার দাস (২৮), হরিরঞ্জন দাস (৪২)। এ সকল জেলেদের বাড়ি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দনি চব্বিশ পরগোনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের শুত্রবার বিকালে নৌ বাহিনী মোংলা থানায় হস্তান্তর করে। পরে নৌ বাহিনীর পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের শেষে আটক ভারতীয় জেলেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবকার বিকেলে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ‘এফবি মা-লক্ষ্মী’ নামক একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে। পরে নৌবাহিনী মঙ্গলবার রাতে আটককৃত জেলেদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করার পর বুধবার এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শেষে থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত