মানুষকে জিম্মি করে চা বিক্রেতা থেকে কোটিপতি

চিতলমারী সাব-রেজিষ্ট্রার ও সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:২৪ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ | ১৬১০

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ শহিদুল ইসলাম ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মুন্সি দেলোয়ার হোসেন বে-আইনী ভাবে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে জমি রেজিষ্ট্রির সময় সরকারি ফি শতকরা ৯% বাদেও সাব-রেজিষ্টারের নামে শতকরা ১% এবং সমিতির নামে শতকরা ২% সহ বিভিন্ন ফি বাবদ বছরের পর বছর ধরে কোটি কোটি টাকা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে আসছেন। তারা দলিল করতে আসা মানুষকে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সমিতির কুপন ছাড়া দলিল রেজিষ্ট্রি করতে দেন না। এখানে তারা সীমাহীন দূর্নীতি করার জন্য সরকার নির্ধারিত কোন রেট চার্ট টানায়নি। অসহায়, সহজ-সরল ও নিরিহ মানুষদের জিম্মি রাখতে তারা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস এলাকায় একটি শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। এমনই সব অভিযোগ তুলে ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চিতলমারী উপজেলা প্রেসকাবে এলাকাবাসির পক্ষে আড়–য়াবর্নী চরপাড়া গ্রামের মৃত রত্তন খাঁনের ছেলে খাঁন তৈয়াবুর রহমান (৪৮) এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে খাঁন তৈয়াবুর রহমান আরও জানান, মুন্সি দেলোয়ার হচ্ছেন উপজেলা সংলগ্ন আড়–য়াবর্নী গ্রামের মৃত মতু মুন্সির ছেলে। গত কয়েক বছর আগে সে চিতলমারী সবুজ সংঘ, বাসস্ট্যান্ড ও নালুয়া বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে চা-বিক্রি করত। হঠাৎ করে সে দলিল লেখক হয়ে মাত্র কয়েক বছরের ব্যাবধানে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে গেছে। আর এরপর থেকে সে ধরাকে সরাজ্ঞান করছে না। দেলোয়ার এলাকায় একজন খারাপ ও হিং¯্র চরিত্রের মানুষ হিসেবে পরিচিত। সে এর আগে চাঁদাবাজি মামলায় হাজতও খেটেছে।

এসব তথ্য তুলে ধরে তৈয়াবুর রহমান ও ভুক্তভোগি শতাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র গত ১৬ অক্টোবর আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক নিবন্ধন অধিদপ্তর (আইজিআর), মহাপরিচালক দূনীতি দমন কমিশন-ঢাকা, পরিচালক র‌্যাব-৬, খুলনা, জেলা প্রশাসক-বাগেরহাট, জেলা রেজিষ্ট্রার-বাগেরহাট, পুলিশ সুপার, বাগেরহাট ও চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দাখিল করেছেন। যা আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিন তদন্ত করলে এর সত্যাতা পাবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।


এ ব্যপারে জানতে চাইলে চিতলমারী দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মুন্সি দেলোয়ার হোসেন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।


তবে চিতলমারী উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার মোঃ শাহিদুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তিনি নিজেও শুনেছেন তার নামে ও সমিতির নামে টাকা কেটে নেয়া হয়। কোন লিখিত অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়নি। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত