বালু ভরাট বন্ধ করে পুনঃখননের দাবি

চিতলমারীতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে খাল দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:৫৪ পিএম, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৭৫১

বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আর সেই বালু দিয়ে খড়মখালী পূর্বাপাড়া খালটি ভরাট করে তারা দিনের পর দিন বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করছেন। ফলে ওই এলাকার প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমিতে জলাবদ্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে সেচ কার্যক্রম। এসব অভিযোগ তুলে ধরে খড়মখালী গ্রামবাসি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। সেই সাথে তারা খালটি দখলমুক্ত করে পুনরায় খননের দাবি জোর জানিয়েছেন।


বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিয়ার রহমান গাজী, ক্ষীরোদ রানা, প্রবীন রনজিত মজুমদার, সুখলাল বাড়ৈ, নন্দলাল ম-ল ও কলেজ শিক্ষক বিধান মজুমদারসহ অনেকে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সরকারি খালটি দীর্ঘ ২০-৩০ বছর যাবত একটি প্রভাবশালী মহল দখল করে বাড়ি-ঘর নির্মান করেছে। তাছাড়া সম্প্রতি ওই এলাকার বিধান পোদ্দারের ছেলে বিতান পোদ্দার অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি কেটে খালটি ভরাট করছে। এ খালটি ভরাটের কারণে এলাকার প্রায় ৫০০ একর ফসলি জমি ও শত শত চিংড়ি ঘেরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বোরো মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা না থাকায় চরম বিপাকে রয়েছেন এলাকার কয়েকশ’ চাষি। খালটি দখলমুক্ত করে পুনঃখননের দাবিতে তারা গণ-স্বাক্ষর করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন।


এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিতান পোদ্দার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, খড়মখালি পূর্বপাড়ার একটি সরকারি খাল দখল করে বালি ভরাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করা হয়েছে। সরকারি নদী-খাল দখল করে কেউ বালি ভরাট বা অবকাঠামো নির্মান করলে তা উচ্ছেদ করে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত