গ্রাম আদালতে সুবিচার পেয়ে খুশি আরজু শেখ
আপডেট : ০৭:১০ পিএম, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০ | ৪৮৬
দরিদ্র কৃষক আরজু শেখ (৬৫)। স্ত্রী ও তিন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ৫ সদস্যর পরিবার তার। বাস করেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ-বাকপুর গ্রামে। অভাবের তাড়নায় জমি বিক্রি করেন প্রতিবেশী মুজিবর ফকিরের কাছে।
জমি বিক্রি করেও টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। তাই সুবিচারের আশায় ছুটে যান কলতলা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে। সেখানে পান ন্যায্য বিচার। এমটাই জানিয়েছেন বৃদ্ধ আরজু শেখ।
কৃষক আরজু শেখ আরও জানান, নগদ টাকা প্রয়োজন হওয়ায় তিনি প্রতিবেশি মুজিবর ফকিরের কাছে ১৬ শতক জমি বিক্রি করে দলিল প্রদান করেন। জমির ১২ হাজার টাকা বাকী থাকায় দলিলের টিকিট তিনি রেখে দেন।
কিন্তু মুজিবর ফকির কোন টাকা দিয়ে দলিলের টিকিট ফেরত চান। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটি ও বিবাদ সৃষ্টি হয়। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তিনি কলতলা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদলতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করে তিনি তার ১২ হাজার টাকা ফিরে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুজিবর ফকির গ্রাম আদালতের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, তিনি তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই আরজু শেখের পাওনা টাকা পরিশোধ করেছেন।
কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালত সহকারী বিবেক মন্ডল বাগেরহাট২৪কে বলেন, বিচারটি নিরপেক্ষ হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি আবেদনকারীর নিকট তার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আবেদনকারীও তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তারা উভয়ে মিলেমিশে বসবাস করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তবে কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রাম আদালতের বিচারক শিকদার মতিয়ার রহমান বাগেরহাট২৪কে বলেন, সুবিচার করা হয়েছে। বিচারে উভয়পক্ষই খুশি।