মোংলায় গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০২:৩২ পিএম, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২০ | ৮১১

মোংলায় বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্হায় কুলসুম বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের স্বামী আলম শেখের বসত ঘর থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত্যু গৃহবধু কুলসুমের বড় ভাই আব্দুল হালিম ফরাজি জানায়, প্রায় আড়াই বছর পূর্বে পার্শবর্তী সুন্দরবন ইউনিয়নের বড়ইতলা এলাকার মৃত মোকতার শেখ’র ছেলে আলম শেখের সাথে কুলসুমের বিয়ে দেয়া হয়। বিবাহের পর থেকেই বোন কুলসুমকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভাবে শাররীক ও মানুষিক নির্যাতন করে আসচ্ছিল।

শনিবার ভোর রাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে, তার বোন গুরুত্বর অসুস্থ। কিন্তু সেখানে গিয়ে বোনের গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্হায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে তারা।

এব্যাপারে স্বামী আলম শেখ’র পরিবার জানায়, কুলসুম বেগম কারো সাথে অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মোংলা থানার এস আই আব্দুল আহাদ বাগেরহাট২৪কে বলেন, শনিবার সকালে গলায় ফাঁস লাগানো এক গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে মৃত্যুর কারন বা রহস্য না জানালেও ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে এবং থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বাগেরহাট২৪কে বলেন, গৃহবধু কুলসুমকে হত্যা করা হয়েছে না সে নিজে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে এবং ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে রিপোটে আসলে ঘটনা জানা যাবে।

স্বজনদের অভিযোগ, কুলসুমকে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের লোকজন পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে আলম শেখ ও তার পরিবারের লোকজন।

এব্যাপারে স্বামী আলম শেখসহ তার পরিবারের লোকজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বোনের মৃত্যুর রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলেও জানায় কুলসুমের বড় ভাই আব্দুল হালিম ফরাজি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত