গাছ পড়ে ভেঙ্গে গেছে বিদ্যালয়ের ভবন

কচুয়ায় ঝুকি নিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৪:৫৬ পিএম, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১১৫৬

কচুয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের শতবর্ষী বারুইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন নানা সমস্যায় জর্জারিত। প্রায় এক বছর আগে ঝড়ের কবলে পরে একটি গাছ বিদ্যালয়ের ভবনের উপর পরলে ভবনের একাংশ ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পরা ওই গাছটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও দেখার কেউ নেই। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়েই ভেঙ্গে পড়া ভবনে কাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের অভাব।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ১৯১৫ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রায় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী নিয়ে চলতে থাকা বিদ্যালয়ের ভবনটির একাংশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে শ্রেনী কক্ষের অভাবে বাধ্য হয়ে শিক্ষকরা ঝুকিপূর্ণ ভবন ও তার বারান্দায় কাস নিচ্ছে। শ্রেনীকক্ষের অভাবে শিক্ষার্থীদের স্কুলের পাশে পুজা মন্ডপের ঘরে কাস নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়টিতে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেটের অভাবে চরম দূর্ভোগ পেতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রায়ই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পেটের পীড়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিদ্যালয়টিতে রয়েছে একটি টয়লেট যা ধীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা ও অপরিস্কার অবস্থায় রয়েছে। আর এভারে চলতে থাকলে কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহি এ প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তার ঐতিহ্য হারিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে পড়বে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসি। তাই বিদ্যালয়টির ভবনের উপর থেকে পড়ে থাকা গাছটি সরিয়ে ভবনের মেরামতসহ সকল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা খানম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে ঝড়ে বিদ্যালয়ের উপর একটি একটি গাছ পড়ে বিধ্যালয়ের ভবনটি ভেঙ্গে গেলেও আজ পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি। এমনকি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি একাধিকবার অবহিত করা হলেও তিনি একদিনও দেখতে আসেননি। এ বিষয়ে জানাতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, দ্রুত ভেঙ্গে পড়া গাছটি নিলাম দেয়া হবে।

কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসমিন ফারহানা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, রাস্তার যে গাছটি এই স্কুলের ভবনের উপর পড়েছে সে গাছটি মুলত জেলা পরিষদের, আমরা জেলা পরিষদকে বলেছি, ওনারা খুব শীঘ্রই এসে গাছটি সরিয়ে নিয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত