চন্দ্রমহলের ১কি.মি.রাস্তার জন্য হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ

জিএম মিজানুর রহমান

আপডেট : ০৩:৫০ পিএম, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ | ১৫৮৪

চন্দ্রমহলের এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছ। এ বিষয় নিয়ে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নেই।

সূত্রে প্রকাশ, বাগেরহাট সদর উপজেলার রনজিতপুর গ্রামে ২০ একর জমির উপর চন্দ্রমহলটি অবস্থিত । বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ আমানুলহুদা সেলিম এর স্বত্তাধিকারী। চন্দ্রমহলটি স্থাপনার পর অতি অল্প সময়ের মধ্যে এর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। প্রতিদিন এখানে অসংখ্য দর্শনার্থীদের ভীড় জমে।

বিশেষ করে পিকনিক মৌসুম শীতকাল, ঈদ, পূজা, নববর্ষ ,ভালবাসা দিবস ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে লক্ষ্য করা যায় উপচে পড়া ভীড়। এখন পিকনিকের মৌসুম। প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার দর্শকের সমাগম ঘটছে। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে এদের আগমন। বিশেষ করে শিক্ষা সফরে আসছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা । দিনে দিনে পার্কটিকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কর্তৃপক্ষ আকর্ষনীয় করে তুলছে।

তাই দক্ষিণ অঞ্চলের বিনোদনের একটি আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্রে এটি পরিণত হয়েছে। খুলনা-মংলা মহাসড়ক থেকে চন্দ্রমহলের মর্ধনীয় স্থানের দুরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। কিন্তু দু:খজনক বিষয় এই এক কিলৈামিটার ইটের রাস্তা খুব ভাংগা ও সংকীর্ণ। ভ্যানে চড়ে যাওয়া যায়না। ভ্যানে উঠলে সমগ্র শরীর নড়ে ওঠে। তারপরও দুইটি ভ্যান এক সংগে গেলে অনেক সময় ধাক্কাধাক্কি হয়।

মোটর সাইকেল পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বহুবার। হাটতে হাটতে ধাক্কা খাওয়া গিয়েও ঘটেছে কয়েকবার অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এই রাস্তাটি রামপাল উপজেলার মধ্যে। এই এ এক কিলোমিটার রাস্তার প্রতিদিন কয়েকশ” দর্শক চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিশেষ করে মহিলা দর্শকদের দুর্ভোগ অবর্ণনীয়। এতা কিছুর পরও কর্তৃপক্ষের এ বিষয় নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। এ প্রসঙ্গে চন্দ্রমহলের মালিক শিল্পপতি সৈয়দ আমানুল হুদা সেলিম সাংবাদিকদের কোন আশাব্যজ্ঞন উত্তর দিতে পারেননি। তিনি পার্কটির ট্যাক্স দিচ্ছেন ঠিকমতো। এতো মানুষ এ অঞ্চলে আসছেন।

কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি। এলাকার সুধীজন মনে করছেন আর বিলম্ব না করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের এই রাস্তাটি নিয়ে এখন ভাবা উচিৎ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত