ডাক্তার-নার্সদের মানববন্ধন

শরণখোলায় ডা. সিরাজুলের বদলি প্রত্যাহার ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফরিদার অপসারণ দাবি

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৪:৩৮ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল ২০২০ | ৭৬০

করোনা সংকটের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যপরায়ন ডা. সিরাজুল ইসলামকে ষড়যন্ত্রমূলক বদলির প্রতিবাদে এবং সেচ্ছাচারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেচ্ছাসেবি সংগঠন আদর্শ মানবকল্যাণ সোসাইটি এবং হাসপাতালের ডাক্তার-স্টাফনার্সরা পৃথক পৃথক এ কর্মসূচী পালন করে।

সকাল ১০টায় শরণখোলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানকল্যাণ সোসাইটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ এলাকাবাসী অংশগ্রহন করে।

সমাবেশ থেকে ডা. সিরাজুল ইসলামের বদলির আদেশ প্রত্যাহার এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের অপসারণের দাবি জানানো হয়। এতে বক্তৃতা করেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা, মানবকল্যাণ সোসাইটির শরণখোলা শাখার সদস্য সচিব সুরাইয়া আক্তার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুম বিল্লাহ, শ্রমিকলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম মিরাজ, তাঁতীলীগের আহবায়ক জিয়াউল তালুকদার প্রমুখ।

অপরদিকে, দুপুর ১২টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ডাক্তার, স্টাফনার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরা। তারা বলেন, অবিলম্বে ডা. সিরাজুল ইসলামের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন কবির বাগেরহাট২৪কে বলেন, করনো সংকটের কারনে অন্যান্য উপজেলার মতো শরণখোলা থেকেও একজনকে সাময়িক ডেপুটেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। ১১ এপ্রিলের পরে তাকে পুনরায় শরণখোলা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন বাগেরহাট২৪কে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ডা. সিরাজুল ইসলামকে ডেপুটেশনে বাগেরহাট সদরে নিয়েছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই।

উল্লেখ্য, ৫০শয্যার শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জিত। উপজেলার দেড় লাখ মানুষের জন্য রয়েছে মাত্র ছয় জন চিকিৎসক। তাছাড়া, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন যোগদানের পর থেকে তিনি কোনো রোগীর দেখেন না। তিনি সরাসরি বলে দিয়েছেন প্রশাসনিক কাজ ছাড়া রোগী দেখা তার দয়িত্ব না। এছাড়া, তিনি ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার এমনকি সাধারণ রোগী ও স্থানীয় রাজনৈতিক দালের নেতাদের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। এতে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ। তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই আন্দোলনে নেমেছে সবাই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত