অবশেষে মোংলা বন্দরের কর্মহীন

তিন হাজার শ্রমিককে সহায়তায় এগিয়ে আসলেন বন্দর কর্তৃপক্ষ

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:০৮ পিএম, রোববার, ১২ এপ্রিল ২০২০ | ৪৬৪

অবশেষে মোংলা বন্দরের কর্মহীন প্রায় তিন হাজার শ্রমিকের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে আসলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। রোববার বিকেলে শ্রমিক সংঘ কার্যালয়ে এ ত্রাণ সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আঃ খালেক। করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন কমে যাওয়ায় এখানে ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে কর্মরত প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিল। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের আগে এখানে কর্মরত প্রায় সাড়ে তিন হাজার শ্রমিক ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে জাহাজ ও জেটিতে পণ্য বোঝাই খালাস কাজ করে মোটামুটিভাবে ভালই সংসার চালিয়ে আসছিলেন। সে সময় মোংলা বন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৫/১৬টি দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজের অবস্থানে থাকতো। সেই সাথে বন্দর জেটিতেও বেশ কিছু পণ্য ওঠানামা করায় শ্রমিকরা কাজে নিয়োজিত থাকতো। কিন্তু সাম্প্রতিককালে করোনার প্রভাবে এ বন্দরে এখন গড়ে প্রতিদিন ৮/১০ টি জাহাজের অবস্থানে থাকছে। পাশাপাশি কমে যায় বন্দর জেটির অভ্যন্তরের অনেক কাজ। এতে অনেকটা বেকার হয়ে পড়ে এখানকার বন্দরের শ্রমিকরা।

মোংলা বন্দর ব্যবহারী ও শ্রমিক ঠিকাদারদের প্রতিষ্ঠান মোংলা বন্দর বার্থ এন্ড শিপ অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এর প্রতিনিধি মেসার্স ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর -সৈয়দ মোঃ মোস্তাক মিঠু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিক কারণে ২৮শ শ্রমিকের মাঝে রোববার বিকেলে তাদের পরিবারকে সহায়তা হিসেবে ত্রাণের এ বিশেষ প্যাকেজ তুলে দেয়া হয়। এ বিশেষ প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। তিনি আরো জানান, কর্মহীন শ্রমিক পরিবারকে এই দুর্যোগে সহায়তা হিসেবে যে ত্রাণ তারা দিয়েছেন তাতে কিছুটা হলেও শ্রমিক পরিবারগুলো উপকৃত হবেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, কর্মহীন এসব শ্রমিকদের সহায়তার জন্য শ্রমিকদের মালিক পক্ষের সংগঠন বার্থ এন্ড শিপ অপারেটরদের (পণ্য খালাস ও বোঝাইকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান) অনুরোধ জানানো হয়েছিল। বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসে এ দুর্যোগের সময় আমাদের বন্দরের শ্রমিকরা অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়ে। তাই একটু হলেও শ্রমিকদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পেরেছি আমরা।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের মোংলা বন্দর, উপজেলা ও পৌরসভায় প্রথম পর্যায় ত্রান তৎপরতা শেষ হয়েছে এখন দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। তাই সকলকে সমন্বয় করে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করলে এখানকার কর্মহীন কেউ বাদ পরবেনা। তার পরেও ত্রান তৎপরতা নিয়ে যদি কোন ব্যাক্তি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় সে যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এছাড়া, মরন ঘাতক এ করোনা ভাইরাসে কেউ অযথা ঘোরা-ফেরা না করে ঘরে অবস্থান করার জন্য কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন স্থানীয় প্রশাসনকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত