সুন্দরবনে রেড অ্যালার্টের মধ্যেও থেমে নেই হরিণ শিকারী চক্র

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৬:৫৩ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০ | ৭০১

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হরিণ শিকারিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় বুধবার থেকে পূর্ব সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করে বনবিভাগ। হরিণ শিকার থামাতে পাশাপাশি বনবিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুঁটিও বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু শিকারি চক্র থেমে নেই। রেড অ্যালার্টের মধ্যে চলছে তাদের অপকর্ম।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০ কেজি হরিণের মাংস। পাচারকালে বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরা শিকারিরা ককশিট ভর্তি মাংস ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।


পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. শামসুল হক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র হরিণের মাংস পাচার করছে গোপন সূত্রে এই খবর পেয়ে এদিন দুপুর দুইটার দিকে তিনি বনরক্ষীদের নিয়ে বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে অভিযান চালান। এসময় চোরা শিকারিরা বনরক্ষীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ককশিটে ভরা মাংস ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িসংলগ্ন মাঠের একটি খাদের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ ব্যাপারে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দ করা মাংস আদালতের অনুমতি নিয়ে বিকেলে রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. বেলায়েত হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সম্প্রতি সুন্দরবন থেকে বেশ কিছু হরিণ ধরা ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। করোনার সুযোগ নিয়ে শিকারিদের তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার থেকে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করে বনবিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। করোনার ভয় উপেক্ষা করে বনরক্ষীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত