স্বামী সন্তান হারানো শহীদ পরিবারের

চিতলমারীতে রাজাকারদের বিচার ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবী

আপডেট : ০৩:৪২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৪৫৯

চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ির মরহুম একরামুল হক মুন্সী ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহচর । মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা ও তাদের রসদ , মদদ সরবরাহ করতেন এ বাড়ীর সদস্যরা । তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুন্সী বদিউজ্জামান ওরফে নান্নু মুন্সী ।

১৯৭১ সালের ১৯জুন হানাদার বাহিনী ও রাজাকার নুরু মিয়া গংদের নেতৃত্বে নৃসংহভাবে হত্যা করা হয় তাদের । নৃসংহ এ হত্যাকান্ডের বিচার ও রাজাকারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবী শহীদ পরিবারের সদস্যদের।

শহীদ মুন্সী বদিউজ্জামানের ছেলে মুন্সী নাহিদুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান ১৯৭১ সালের ১৯ শে জুন সকাল বেলা কিছু বুঝে ওঠার আগেই রাজাকার ও খান সেনাদের নৃসংহ আক্রমন শুরু হয় । পেট্রোল ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে দেওয়া হয় মুন্সীবাড়ীর সমস্ত ঘর-বাড়ীতে । ধরে নেওয়া হয় মুন্সী বদিউজ্জামান ও নবম শ্রেনীর ছাত্র মুন্সী মাকসুদুরজ্জামান আদরকে । পরবর্তীতে পার্শ¦বর্তী নালুয়া বাজারে নিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মুন্সী বদিউজ্জামানকে ও মাথার খুলি উঠিয়ে হত্যা করা হয় নবম শ্রেনীর ছাত্র মুন্সী মাকসুদুরজ্জামান আদরকে ।


শহীদ মুন্সী বদিউজ্জামানের ভাইপো মুন্সী এমরানুল হক জানান, তারা এখনো সেই দু:সহ হত্যাকান্ডেরর স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেরা”েছন । নৃসংহ হত্যাকান্ডের বিচার ও রাজাকারদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবী জানান তিনি

চিতলমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজিবুর রহমান তিনি দ্রুত এ নৃসংহ হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করার দাবী জানান তিনি ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত