ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের পাঁয়তারা

চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:৫০ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ | ২৭১০

চিতলমারীতে ভুল চিকিৎসায় ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা বানিয়া আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এমন অভিযোগে গৃহবধূর স্বামী ফজলুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার চিতলমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। মৃত গৃহবধুর ফারিয়া নামের এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল পাঁয়তারা চালাচ্ছে।


অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি ৬ মাসের অন্তস্বত্তা গৃহবধু বানিয়া আক্তার সামান্য অসুস্থতা বোধ করলে চিতলমারী বাজারের মোস্তাইন বিল্লার ওষুধের দোকানে যায়। তখন মোস্তাইন বিল্লাহ একটি ঔষধ খেতে দিলে তা খেয়ে বানিয়া আক্তার গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে পার্শ্ববতী হাতুড়ি ডাক্তার শশাংক ওঝাকে দিয়ে মোস্তাইন বিল্লাহ বাচ্চা নষ্ট করার চেষ্টা করে। অপারেশনে বানিয়া আক্তার প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। বানিয়া আক্তারের অবস্থা আরো আশংকাজনক হওয়ায় তারা ১৯নভেম্বর রাত ১২টায় চিতলমারী বাজারের ডাক্তার ফারুক হোসেনের কিনিকে ভর্তি করে। রুগীর অবস্থা শংঙ্কাটাপন্ন হওয়ায় ডাঃ ফারুক আহম্মেদ বানিয়া আক্তারকে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় ওই গৃহবধুর মৃত্যুবরণ করেন।


গৃহবধুর স্বামী ফজলুল হক খোকন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তিনি ঢাকায় চাকুরী করেন। তার স্ত্রী বানিয়া আক্তারকে মোস্তাইন বিল্লাহ ও হাতুড়ে ডাক্তার শশাংক ওঝা অপারেশনের নামে পরিকল্পিভাবে হত্যা করেছে। শশাংক এর আগেও গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে দুই-তিনটি কিশোরীকে মেরে ফেলেছে। এত বড় একটি ঘটনা ঘটলেও এ এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে পায়তারা চালাচ্ছে।

এব্যাপারে হাতুড়ে ডাঃ শশাংক ওঝা মুঠোফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, রুগীটি মোস্তাইন বিল্লাহ তার কাছে এনেছিল। তিনি ওষুদ প্রয়োগ করলেও কোন অপারেশন করেননি।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অনুকুল সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, অভিযোগ পেয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত