সুন্দরবন থেকে ৭ হরিণ শিকারী আটক, ট্রলার, ফাঁদ উদ্ধার

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৭:২০ পিএম, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০ | ৭৭০

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রস্তুতিকালে সাত শিকারীকে আটক করেছে বনবিভাগ। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের পক্ষীরচর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। শিকারীদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ২০০হাত নাইলনের দঁড়ির ফাঁদ, ২০০হাত ইলিশের জালসহ হরিণ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

আটক শিকারীরা হলেন, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মুনসুর বিশ্বারের ছেলে মো. ইব্রাহীম বিশ্বাস (৪০), ইব্রাহীম বিশ্বারের ছেলে ইউনুচ বিশ্বাস (১৮), ইসমাইলের ছেলে মো. মোস্তফা (৩০), তালুকচরদুয়ানী গ্রামের হাবিব মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা (২৫), উত্তর কাঁঠালতলী গ্রামের আ. হামিদের ছেলে ইলিয়াস (৩০), সায়েরাবাদ গ্রামের আ. হকের ছেলে শুকুর আলী ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নলী গ্রামের সালাম কাজীর ছেলে মো. জাকির কাজী (৩৮)।

পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সুন্দরবনের সংঘবদ্ধ একটি হরিণ শিকারীচক্র প্রবেশ করার গোপন সংবাদ পায় বনরক্ষীরা। ভোর পাঁরটার দিকে জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদিক মাহদুদের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা পক্ষীরচরে অভিযান চালায়। এসময় ওই চরের একটি খালের মধ্যে ট্রলারটি দেখতে পেয়ে তারা চ্যালেঞ্জ করলে ট্রলারে থাকা জেলে ছদ্মবেশী শিকারীরা বনবিভাগের কোনো পাস-পারমিট দেখাতে না পারায় তাদেরকে আটক করা হয়।

এসিএফ জানান, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হরিণ শিকারের উদ্দেশে বনে প্রবেশের কথা স্বীকার করে। বনরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাথরঘাটা উপজেলার জ্ঞানপাড়া এলাকার হরিণ শিকারী চক্রের গডফাদার মালেক গোমস্তার দলের সদস্য বলেও স্বীকার করেছে। শিকরীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত