নিখোঁজ তিনজনের আশা ছেড়ে দিয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ১১:২৪ পিএম, বুধবার, ১৭ নভেম্বর ২০২১ | ৪৬৩

মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে দুইজনের লাশ উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার বিকেলে ডুবন্ত বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুম থেকে গ্রীজার নুর ইসলাম ও সন্ধ্যায় সুকানী মহিউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় ডুবুররা। ওই দুইজনের মরদেহ মঙ্গলবার রাতে থানা পুলিশে হস্তান্তর করার পর তাদের লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু্ মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই বিশ্বজিৎ মুখার্জি। এদিকে বাকী তিনজনের লাশের আশা ছেড়ে দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় ডুবরি দলের প্রতিনিধি মোঃ আবুল কালাম বলেন, দুইজনের লাশ মঙ্গলবার বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুমের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইঞ্জিন রুম ছাড়া বাল্কহেডের অন্য কোথাও ঢোকার কোন সুযোগ নাই। কারণ বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটির ব্রিজ ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে। সেখানে ঢুকে তল্লাশী চালানোর কোন সুযোগ নেই। তাই উদ্ধার কাজ স্থগিত করেছে মালিক পক্ষ। এছাড়া বাকী নিঁখোজদের লাশ বাল্কহেডের ভিতরে আছে নাকি দুর্ঘটনার রাতে স্রোতের টানে ভেসে গেছে তাও তো নিশ্চিত নয়।

পিরোজপুরের স্বরুপকাঠী এলাকার বাল্কহেড মালিক ফজলুল হক খোকন বলেন, আমি মুলত মানিক নামের এক ব্যক্তির কাছে বাল্কহেডটি ভাড়া দিয়েছি। তার কাছে ভাড়ায় থাকা অবস্থাতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বাল্কহেডটি উত্তোলণে ঢাকার সবচেয়ে বড় এবং দক্ষ ডুবরি দল ভাড়া করা হয়েছে। আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে কয়লা অপসারণের কাজ শুরু করতে পারবো।

দুর্ঘটনার পর তিনদিন অতিবাহিত হওয়ায় কোস্ট গার্ড তাদের উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ রেখেছেন। তবে ওই এলাকায় তাদের টহল থাকবে বলে জানিয়েছে কোস্ট গার্ড।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, বাল্কহেড উত্তোলন ও উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য মালিক পক্ষ আমাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে। এখন তারা তাদের মত কাজ করবেন। বাল্কহেড ডুবির ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বাল্কহেড সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত