ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দাবী-সচেতন মহলের

বাগেরহাটে যৌখালীনদীতে স্যালো-ইঞ্জিন দিয়ে চলছে বালু উত্তোলনঃ হুমকির মুখে আশ্রয়ন প্রকল্পসহ ফসলি জমি

শেখ আনিছুর রহমান,চুলকাটি

আপডেট : ০৮:৩২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২২ | ৭১৮

বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রনজিৎপুর গ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত যৌখালীনদী হতে অবৈধ ভাবে স্যালো-ইঞ্জিন দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ভাঙ্গনের মুখে রনজিৎপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বেশ কয়েকটি সরকারী ব্যরাক ও বিপুল পরিমানের চাষাবাদের জমি। তবে রহস্যজনক কারনে প্রশাসন নিরব রয়েছে।


সদর উপজেলার রনজিৎপুর গ্রামে টাটেরহাট ব্রীজ হতে ১০০ গজ পূর্ব দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের এই মহোৎসব চলছে।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানাগেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কুচক্রি মহল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় একই দলের সহযোগী সংগঠনের রনজিৎপুর গ্রামের স্থানীয় জনৈক এক নেতা। দীর্ঘদিন ধরে যৌখালী নদীতে টাটেরহাট ব্রীজ হতে পোলেরহাট ব্রীজ পর্যন্ত স্থান হতে অবৈধ ভাবে বালু তুলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। যার ফলে হুমকির মুখে রনজিৎপুর আশ্রয়ন প্রকল্প, উত্তর খানপুর আশ্রয়ন প্রকল্প, চুড়মনি আশ্রয়ন প্রকল্প সহ প্রায় এক হাজার হেক্টর চাষাবাদের জমি।



নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধীক বাসিন্দা জানান, প্রতি বর্গফুট বালু স্থান ভেদে ৮-১০ দরে বিক্রি করছে চক্রটি। এ পর্যন্ত কয়েক লাখ বর্গফুট বালি উত্তোলন করে বিক্রি করেছে। এই চক্রে রয়েছে একাধীক প্রভাবশালী ব্যক্তি যার কারনে ভয়ে মুখ খোলেনা স্থানীয়রা । তারা আরো জানান, কখনও যদি কেউ উপজেলা প্রশাসন কে জানান তবে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বালু উত্তোলন বন্ধ করে । কিছু দিন পর আবার পূর্বের রূপে ফিরে আসে। এ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত কখনও অভিযান চালাননি ।


টাটেরহাট এলাকার ওই স্যালো-ইঞ্জিন চালিত আতœঘাতি ড্রেজার চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সে দিনে ৬০০ টাকা বেতনে কাজ করে ড্রেজার মালিক হলেন, রনজিৎপুর গ্রামের মজিদের পুত্র হাকিম সে আরো জানায়, বেশকিছু দিন ধরে এই নদী হতে তারা বালু উঠায়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়ি,বাগান সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে।


দীর্ঘদিন ধরে এভাবে সরকারী নদী হতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসলেও উপজেলা প্রশাসন কার্যকর কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেনি । ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী তুলেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এব্যাপারে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিলনা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, এ ব্যাপারে অতিদ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত