মোংলায় লবনসহিষ্ণু ইকো মেলা

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৯:৫৬ পিএম, সোমবার, ২৮ মার্চ ২০২২ | ৬৬৭

মোংলায় বিএএসডি আয়োজনে ইকো মেলা-২০২২ হয়েছে। সোমবার মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের দামেরখন্ড গ্রামের কালী মন্দির প্রাঙ্গণে জমকালো এক ইকো মেলার আয়োজন করে।

সেখানে বক্তারা বলেন, বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে খাপ-খাইয়ে নেয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্র অনেক বেশি প্রভাবিত হচ্ছে। বর্তমানে কৃষক বাড়তি ফসলের আশায় অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এর ফলে খাদ্যের গুণগত মান যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরতা শক্তি। আবার অন্যদিকে কীটনাশকের যথেষ্ট ব্যবহার সকলের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য জৈব কৃষি ও জনসচেতনতার বিকল্প নেই। সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিএএসডি আয়োজিত ইকো মেলা-২০২২ এ উপস্থিত বক্তারা এসকল কথা বলেন।


এই ইকো মেলার মূলসুর ছিল ‘বাস্ততন্ত্রের পুনরুদ্ধার করা’। এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন মোংলা, বাণিশান্তা ও লাউডোব-এর ২৬টি স্ব-নির্ভর দলের সদস্যবৃন্দ। মেলায় জৈব কৃষির নানা পদ্ধতি, বিভিন্ন ধরণের জৈব সবজি, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোর কৌশল, হস্তশিল্প, দেশি বীজ ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে জেন্ডার বৈষম্য ও নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক পট গান ও নাটিকা আয়োজিত হয়। কারিতাস ও ক্যাফোড-এর আর্থিক সহায়তায় ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স এ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি (সিসিআরএফএস) প্রকল্পের অংশ হিসাবে সমগ্র কার্যক্রমটি বাস্তবায়িত হয়। ইকো মেলার এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন মিস জ্যোতি হালদার, বোর্ড সদস্য, বিএএসডি। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মি. সিদ্ধ্যার্থ সরকার।


উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপজেলা-কৃষি কর্মকর্ত শেখ সাখাওয়াত হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ইশরাত জাহান, সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার, প্রকল্প ব্যবস্থাপক বাবু পরিতোষ কুমার মৃধা সহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, সাংবাদিক, আশার প্রদীপ সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (আসুস)-এর কর্মীবৃন্দ, স্ব-নির্ভর দলের সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণ।


প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্যের জন্য সকলের উচিৎ জৈব সবজি চাষ করা এবং লবনাক্ত এলাকার জন্য মাছ চাষের পাশাপাশি লবনসহিষ্ণু ফসলের চাষাবাদে এগিয়ে আসা। তাই সকলের সমন্বিত উদ্দোগ্যের মাধ্যমে ব্যাপক হারে জৈব সার তৈরী করে ধান ও সবজি চাষ করতে পারলেই আমাদের শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ আমারাই গড়তে পারবো। রাসায়নিক সার বর্জন এবং জৈব কৃষি বর্ধনে সকল কৃষকের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান এ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত